বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

ব্লগার হত্যাকান্ডের কিছু পর্যালোচনা


২০১৩ থেকে আজ পর্যন্ত ১০ জনের বেশি ব্লগারকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিছু ব্লগার অলৌকিকভাবে প্রানে বেঁচে গেছেন। অনেক ব্লগার দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। নিজের দেশ ছেড়ে বাইরে পড়ে থাকতে হচ্ছে শুধুমাত্র প্রান বাঁচানোর জন্য।

সম্পাদক নোট: ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা'র নিজ ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করা হলো। 

এই ব্লগারদের হত্যার পিছনে আনসার আল ইসলামকে দায়ী মনে করা হচ্ছে যারা সরাসরিভাবে জামায়াতে ইসলামী এবং আল কায়েদা (এশিয়া প্যাসিফিক) এর সাথে জড়িত। এবং বরাবরই আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ( বর্তমানে আনসার আল ইসলাম ) এই সমস্ত হত্যাকান্ডের সরাসরি দায় স্বীকার করে আসছে।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরনে যাওয়ার আগে একটু পিছনে ফিরে যাওয়া যাক।

২০১০ সালে আওয়ামী লীগ যারা নিজেদের সেক্যুলার দল হিসেবে দাবী করে তারা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল গঠন করে। ফেব্রুয়ারী ২০১৩ সালে ট্রাইবুন্যাল আব্দুল কাদের মোল্লা যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এবং ১৯৭১ সালে অসংখ্য বাঙালি হত্যার পিছনে সরাসরিভাবে দায়ী তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।কিন্তু এই রায়ের বিরুদ্ধে সেক্যুলার ব্লগার এবং লেখকরা অবস্থান নেয় এবং বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সাক্ষ্যপ্রমানের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদানের আবেদন জানায়। প্রাথমিকভাবে BOAN ( Blogger and Online Activist Network) এই দাবী তুললেও পরবর্তীতে সারা বাংলাদেশের মানুষ এই আন্দোলনে যোগদান করে যা পরবর্তীতে শাহবাগ আন্দোলনে রুপ নেয়। এই শাহবাগ আন্দোলনে পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীকে দলকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানায় এবং সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানায়।

তখন জামায়াতে ইসলামী সহ অনেক ইসলামী দল মিলে একটি নতুন দল গঠন করে যার নাম দেওয়া হয় ”হেফাজতে ইসলাম”। শাহবাগ আন্দোলনকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করতে এই সংগঠন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। লেখক ও ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ও নবী মোহাম্মদকে কটুক্তি করার অভিযোগে নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির আবেদন জানিয়ে পাল্টা আন্দোলন শুরু করে এবং দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ১৫ ফেব্রুয়ারী সেক্যুলার ব্লগার এবং শাহবাগ আন্দোলনের অগ্রগামী আহমেদ রাজিব হায়দারকে তার বাসার সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ঠিক তখন থেকে আজ পর্যন্ত ১০ জনের বেশি ব্লগারকে খুন করা হয়েছে। এর আগেও ইসলামী জঙ্গী গ্রুপ বাংলাদেশের লেখকদের উপর আক্রমন চালিয়েছে। ১৯৯৯ সালে কবি শামসুর রাহমানের উপর হামলা করা হয়, এবং এই হামলার পিছনে জঙ্গী গ্রুপ হরকাতুল জিহাদকে দায়ী করা হয়। ২০০৩ সালে প্রফেসর হুমায়ুন আজাদকে একুশে বইমেলায় চাপাতি দিয়ে হামলা করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০০৪ সালে জার্মানিতে তার মৃত্যু হয়।

ইসলামিস্ট জঙ্গিদের দ্বারা ব্লগারদের উপর হামলার কিছু চিত্রঃ

১) আসিফ মহিউদ্দিন
১৫ জানুয়ারী ২০১৩ সালে তার অফিসের সামনে তার উপর হামলা হয় কিন্তু ভাগ্যক্রমে প্রানে বেঁচে যান, বর্তমানে জার্মানিতে অবস্থান করছেন।
২) আহমেদ রাজিব হায়দারঃ
১৫ ফেব্রুয়ারী মিরপুরস্থ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
৩) সানিউর রহমানঃ
৭ই মার্চ ২০১৩ সালে পুরবী সিনেমা হলের সামনে চাপাতি দিয়ে আক্রমন করা হয়, কিন্তু ভাগ্যক্রমে প্রানে বেঁচে যান।
৪) শফিউল ইসলামঃ
১৫ই নভেম্বর, ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
৫)অভিজিৎ রায়ঃ
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সালে মুক্তমনার ব্লগের সঞ্চালক এবং লেখক অভিজিৎ রায় এবং তার স্ত্রী বন্যা আহমেদকে একুশে বইমেলার সামনে চাপাতি দিয়ে আক্রমন করা হয়। বন্যা আহমেদ চাপাতির একাধিক কোপ খেয়েও সঙ্কটাপন্ন অবস্থা থেকে বেঁচে ওঠেন কিন্তু অভিজিৎ রায়ের মৃত্যু হয়।
৬)ওয়াশিকুর রহমান বাবুঃ
৩০ মার্চ, ২০১৫ সালে ব্লগার হিসেবে তেমন পরিচিতি না থাকলেও ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার কারনে একই ভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
৭) অনন্ত বিজয় দাসঃ
১২ মে, ২০১৫ সালে নাস্তিক ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসকে সিলেটে খুন করা হয়।২০১৫ সালে সুইডিশ পেন সোসাইটি বাংলাদেশে লেখকদের উপর হামলার বিষয়ে সেমিনারে অনন্ত বিজয় দাসকে আমন্ত্রন জানায় কিন্তু সুইডিশ সরকার তার ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। যদি অনন্ত বিজয় দাসকে সে সময় ভিসা দেওয়া হত হয়তবা তিনি জীবিত থাকতেন।
৮) নিলয় নীলঃ
৭ই আগস্ট ২০১৫ সালে নিলাদ্রি চট্টপাধ্যায় নিলয় ( যিনি বিভিন্ন ব্লগে নিলয় নীল নামে লিখতেন ) ঢাকার গোরান এলাকায় নিজের বাসায় খুন হন।
৯) ফয়সাল আরেফিন দীপনঃ
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সালে অভিজিৎ রায়ের বই ছাপানোর কারনে দীপনসহ আরেফিন রশিদ টুটুল, রনদীপ বসু এবং তারেক রহিমের উপর প্রকাশনা অফিসে হামলা করা হয়। বাকিরা বেঁচে গেলেও দীপন মৃত্যুবরণ করেন।
১০) নাজিমুদ্দিন সামাদঃ
৬ই এপ্রিল, ২০১৬ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার কারনে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এছাড়াও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এবং সমকামিতার অভিযোগে ১২ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল, এই হত্যাকান্ডের পিছনে আসলে কারা দায়ী। ব্লগারদের হত্যার পরে হাতে গোনা কয়েকজনকে পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করে কিন্তু তাদের শাস্তির ব্যাপারে প্রশাসনকে নিরব ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়। খুনিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল অপরাধীদের শনাক্ত করতে আওয়ামী সরকারকে খুব একটা মাথা ঘামাতে দেখা যাচ্ছে না।

২০১৪ সালে হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শফিকে রেলওয়ের ৩২ কোটি টাকার জমি উপহার দেওয়া হয়। ঠিক তার পরপরেই হেফাজতে ইসলাম সব ধরনের আন্দোলন প্রত্যাহার করে এবং সরকারের গুনগান শুরু করে। প্রথমে ব্লগারদের হত্যার বিষয়ে সরকারের হত্যার বিচারের আশ্বাস পাওয়া গেলেও এতদিনে একটা বিচারও আলোর মুখ দেখেনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ প্রধান একেএম শহিদুল হক অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাসের পাশাপাশি ব্লগে ধর্ম অবমাননা করলে তাকেও শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ব্লগে লেখাকেও সরকার অপরাধ হিসেবে দেখছেন।

২০১৩ তথ্যপ্রযুক্তি আইন সংশোধন করে ৫৭ ধারার মাধ্যমে ব্লগার এবং লেখকদের লেখার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়। কেউ ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলে ৫৭ ধারার ২ নম্বর উপধারা অনুযায়ী, ‘কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং ন্যূনতম সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘ মুক্তচিন্তার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া বিকৃত রুচি ও নোংরা রুচির পরিচয়৷ ” পাশাপাশি তিনি এ ধরনের লেখালেখির কারণে হামলার শিকার হলে তার দায় সরকার নেবে না বলেও জানিয়েছেন৷

শেখ হাসিনা এও বলেন এখন নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন দাঁড়িয়ে গেছে যে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তারা হয়ে গেলো মুক্তচিন্তা।
“আমি তো এখানে মুক্তচিন্তা দেখিনা,আমি এখানে দেখি নোংরামি”।
তিনি বলেন, “যাকে আমি নবী মানি তার সম্পর্কে নোংরা কেউ যদি লেখে সেটা কখনো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন নোংরা কথা, পর্ণ কথা এগুলো কেন লিখবে ? এটা তো সম্পূর্ণ নোংরা মনের পরিচয়।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরকার নাস্তিক হত্যার লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছেন। এখন থেকে কোন নাস্তিক লেখক অথবা ব্লগার খুন হলে তার বিচার তো দূরে থাক, উল্টো তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

গত বুধবার মাদারীপুরে সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের গণিতের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে ফাহিম নামক এক যুবককে ধরে পুলিশে দেয় জনতা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে হিযবুত তাহরীরের একজন কর্মী। সারা দেশে হিযুবত তাহরীর ‘’ নিজেদের অস্তিত্ব ও কার্যক্রম জানান দিতে সফট টার্গেট ” মিশনে নেমেছে বলে ফাহিম জিজ্ঞাসাবাদে জানান।

সরকার ব্লগারদের হত্যার বিষয়ে যথেষ্ট মনোযোগী নন, কিন্তু উল্টো ব্লগারদের দোষারোপ করায়, এবং সাক্ষীদের খুন করে প্রমান ধামাচাপা দেওয়ায় সন্দেহের তীর কিন্তু সরকারের দিকেই যাচ্ছে।

নাস্তিকদের খুনের লাইসেন্স দিয়ে, ব্রেইন ওয়াশড ছাত্রদের দিয়ে নাস্তিকদের খুন করিয়ে ৯০ শতাংশ মুসলিমদের কাছে জনপ্রিয় থেকে নিজেদের গদি রক্ষা করার এ কোন বিশাল ষড়যন্ত্র নয় তো?

বিচারের ভার পাঠকদের উপর ছেড়ে দিলাম।

মুক্তমনা প্রতিষ্ঠাতা, লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের আসামি আনসার বাংলা সদস্য শরীফ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

মুক্তমনা প্রতিষ্ঠাতা, লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের আসামি আনসার বাংলা সদস্য শরীফ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

সম্পাদক নোট: ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা'র নিজ ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করা হলো। 

শনিবার (১৯ শে জুন, ২০১৬) রাত দুইটায় ঢাকার খিলগাও এ মেড়াদিয়া বাশপট্টি এলাকায় কিছুদিন আগে ডিএমপির ধরিয়ে দেবার জন্য পুরষ্কার ঘোষিত ছয় জঙ্গির মধ্যে একজন শরীফুল ওরফে সাকিব গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। অভিজিৎ রায়ের মামলার আসামি থাকার বিষয়টি সহ আনসার বাংলা সদস্য শরীফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) দক্ষিণ […]

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬

স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর ইফতার

প্যারিসের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন গত রোববার প্যারিসের মেট্রো হোসের অভিজাত হলে স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে ফ্রান্সের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।                                     ছবি-সাকিব আহমদ মুছা

স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে প্যারিসে ইফতার

প্যারিসের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে ফ্রান্সের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে গত রোববার প্যারিসের মেট্রো হোসের অভিজাত হলে সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ছবি- সাকিব আহমদ মুছা 

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

প্যারিসে ইফতার মাহফিল স্বরলিপি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উদ্যোগে


গত রোববার প্যারিসের মেট্রো হোসের অভিজাত হলে প্যারিসের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে ফ্রান্সের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।      ছবি-সাকিব আহমদ মুছা


প্যারিসের জনপ্রিয় স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে ইফতার

প্যারিসের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে গত রোববার প্যারিসের মেট্রো হোসের অভিজাত হলে ফ্রান্সের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতেএ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।    ছবি-সাকিব আহমদ মুছা 

প্যারিসে স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে ইফতার


পবিত্র মাহে রমজান আত্মশুদ্ধি ও তাক্বওয়া অর্জনের মাস। এ মাসেই পবিত্র কুরআন নাযিল এবং ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সিয়ামের প্রকৃত শিক্ষা কাজে লাগানোর মাধ্যমেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। গত রোববার প্যারিসের মেট্রো হোসের অভিজাত হলে প্যারিসের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বরলিপি সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে ফ্রান্সের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।   ছবি-সাকিব আহমদ মুছা 

রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬

জঙ্গীবাদ মৌলবাদের হিংস্র রূপ : সাংস্কৃতিক লড়াই দিয়েই তাকে রুখতে হবে

জঙ্গীবাদ মৌলবাদের হিংস্র রূপ : সাংস্কৃতিক লড়াই দিয়েই তাকে রুখতে হবে

সম্পাদক নোট: ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা'র ‘জঙ্গীবাদ মৌলবাদের হিংস্র রূপ : সাংস্কৃতিক লড়াই দিয়েই তাকে রুখতে হবে' লেখ কথাটি তার নিজ ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করা হলো।

সরকারী অথর্ব মন্ত্রী-আমলারা স্বীকার করুক বা না করুক-ধর্ম নিরপেক্ষতার চেতনা নিয়ে নৃতাত্ত্বিক জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ, ক্রমে জঙ্গীবাদীদের-তথা ইসলামী জঙ্গীবাদের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে । জঙ্গীবাদীদের প্রথম শিকার মুক্তমনা, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক, অত:পর ক্রমান্বয়ে সংস্কৃতিবান শিক্ষক, ভিন্নমতাবলম্বী ব্যক্তি, ভিন্ন ধর্মীয় পুরোহিত, সর্বেশেষে স্বধর্মীয় ভিন্ন মতাবলম্বী মোল্লা মৌলবি ।

প্রথম প্রথম যখন জঙ্গীবাদীরা কেবল মুক্তমনা ব্লগার, লেখক-প্রকাশকদের হত্যা […]

শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬

মানুষে মানুষে কেবল পারেন না ব্যাবধান ঘোঁচাতে

মানুষে মানুষে কেবল পারেন না ব্যাবধান ঘোঁচাতে

সম্পাদক নোট: ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা'র ‘মানুষে মানুষে কেবল পারেন না ব্যাবধান ঘোঁচাতে' লেখ কথাটি তার নিজ ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করা হলো।

ধর্ম এবং ধর্মীয় ব্যবস্থা নাকি মানুষে মানুষে কোন রকম বিভেদ দৃষ্টি করেনা, যারা এই ধরনের কথাগুলি প্রচার করে চলেছেন তাদের মানবিক বিচার বোধ আশা করে, তাদের জন্য কিছু প্রশ্ন নিবেদন করছি।

ধরে নিন আমি  সাকিব আহমদ মুছা আর উনি হলেন শ্রী রাদেশ। আমাদের এই দু জনের বাড়ি একই দেশে, একই জেলায়, একই […]

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

বাংলাদেশ ফ্রান্স আওয়ামী লীগ প্যারিস

নবগঠিত ফ্রান্স আওয়ামীলীগ’র উদ্যোগে,  মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন। সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।   বাংলাদেশ ফ্রান্স আওয়ামীলীগ’র প্যারিসে ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বৃহষ্পতিবার প্যারিসের মেট্রো হোস হলে আলোচনা সভার একাংশ। ছবি- সাকিব আহমদ মুছা




বাংলাদেশ ফ্রান্স আওয়ামীলীগ’র প্যারিসে ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা


বৃহষ্পতিবার প্যারিসের মেট্রো হোস হলে ফ্রান্স আওয়ামীলীগ’র উদ্যোগে, বাংলাদেশ ফ্রান্স আওয়ামীলীগ’র প্যারিসে ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভার একাংশ। ছবি- সাকিব আহমদ মুছা

বাংলাদেশ ফ্রান্স আওয়ামী লীগ এর ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্যারিসের মেট্রো হোস হলে।



বক্তারা বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয় স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মাধ্যমে এই সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। পরে শুরু হয় সামরিক শাসন। এ সময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও রাজপথে নামে আওয়ামী লীগ। এভাবে সবসময় নানা আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকেছে এ দলটি। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের ১৯ জানুয়ারি দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে কাজ শুরু করেন। ছবি- সাকিব আহমদ মুছা

বাংলাদেশ ফ্রান্স আওয়ামী লীগ এর ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী



বৃহষ্পতিবার প্যারিসের মেট্রো হোস হলে ফ্রান্স আওয়ামীলীগর সাধারণ সম্পাদক দিলোওয়ার হোসেন কয়েছর পরিচালনায় ও সংগঠনের সভাপতি মহসিন উদ্দিন খান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর শাহাদাৎ আলী। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকী , মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক , ফ্রান্স আওয়ামীলীগর সিনিয়র সহ-সভাপতি মন্জুরুল ইসলাম সেলিম , সাবেক সহ-সভাপতি সোনাম উদ্দিন খালিক , জিয়াউল হক চৌধুরী নাছির,মুক্তিযোদ্ধা নূর সহ ফ্রান্স আওয়ামীলীগের নেতারা।

৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করল বাংলাদেশ ফ্রান্স আওয়ামী লীগ


অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে যখন বংগবন্ধুর কন্যা জননেত্রি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে টিক তখন  জামায়াত বি.এন.পি প্রন্থী এজেন্ট ইসলামের সালাফী বা ওয়াহাবী একটি সুন্নী ধারার কোন গোষ্ঠী এই হামলাগুলি পরিচালনা করেছে কুচক্রি মহল গুপ্ত হত্যার মধ্যদিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া উঠেছে। এদেরকে জননেত্রি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিহত করার আহবান জানান বক্তারা। পরে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।ছবি- সাকিব আহমদ মুছা

প্যারিসে ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ



মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন। সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নবগঠিত ফ্রান্স আওয়ামীলীগর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা। ছবি- সাকিব আহমদ মুছা