রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

আল্লাহ কেমনে হেফাযতকারী হয়

২২০০ এর উপরে লোক মারা গিয়েছে নেপালে এটা না ২০০০০ হয়ে যায় ! এতগুলো প্রাণ নেয়ার পর আল্লাহ কেমনে মহান হয়? এতো ধ্বংসলীলারর পর আল্লাহ কেমনে হেফাযতকারী হয়? এরা কি চৌক্ষে দেখে না , কানেও শুনে না ! মোহর তো আল্লাহ নাস্তিকদের এঁটে দেয়নি , মোহর এঁটেছে আস্তিকদের অন্তরে , চোখে , আর কানে

সরকার ধ্বংসের পথ পরিহার করে

আমরা আশা করছি, সরকার ধ্বংসের পথ পরিহার করে ওয়াশিকুর বাবু সহ সকল মুক্তচিন্তক হত্যার বিচার করে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে।

রোহিংগা ইস্যূ জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ আবার আমাদের দেশে উস্কে দিবে

আপনি সঠিকটাই লিখছেন ও ভাবছেন রোহিংগা নির্যাতনের ভয়াবহ সব সচিত্র ও দৃশ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে এটা সত্য কিন্তু এটাও সত্য যে, বাংলাদেশে রোহিংগা আশ্রয় দিলে বাংলাদেশে যে, প্রভাব পড়বেনা তার কি প্রমান আছে। হা আছে অস্বীকার করার উপায় নাই যে, আমাদের দেশে জঙ্গী নাই। রোহিংগা ইস্যূ জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ আবার আমাদের দেশে উস্কে দিবে।  আমাদের দেশে কোন ভয়াবহ ঘটনা ঘটুক সেটা আমাদেরকারোরই কাম্য নয়। 

রোহিংগা ইসূতে যদি বিশ্ব  অন্ধ , বোবা সেজে থাকতে পারে তাহলে আমরা নয় কেন?

হত্যা করে আপনারা মুসলমানরা ঈমানী চেতনা দেখাবেন

ভাই আপনার কমেন্টের সাথে আমি একমত। মুসলমান আবার কি আমরা সবাই মানুষ এটা আমাদের বড় পরিচয়। একরকমের লোক আছে যারা বলে আমরা মুসলমান মুসলমান সেই বলে একের পর এক মানুষ হত্যা যোগ্যের ঘটনা ঘটাচ্ছে।  ২ বছরের ও বেশী সময় ধরে যখন সৌদি আরব হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনএ  তখন আপনারা মুসলমানদের আপনাদের এত ঈমানী চেতনা দরদ কই ছিল?
ঈমানী চেতনা তখন স্থগিত ছিল কেন। এখন কি অন্য জাতীকে হত্যা করে ঈমানী চেতনা আপনারা মুসলমানরা দেখাবেন।

ঈশ্বরের চর দখল

লেখক: সাকিবআহমদমুসা

অক্সিজেন ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব না। ঠিক তেমনই উপাসনা ছাড়া ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই। মানুষের উপাসনা না পেলে ঈশ্বরের মৃত্যু ঘটে, তাই বেঁচে থাকার জন্য ঈশ্বর মানুষের থেকেও বেশী মরিয়া। এক জন মানুষ মড়ে গেলেও তার বংশধর থাকে, কিন্তু ঈশ্বরের মৃত্যু ঘটা মানে নির্বংশ হয়ে যাওয়া। তাই বেঁচে থাকার যুদ্ধ মানুষ থেকে ঈশ্বরের জন্য বেশী কঠিন।

মানুষের উপাসনা পাবার জন্য ঈশ্বরের যুক্তি একটাই, তিনি সব কিছুর স্রষ্টা। আর সেটা বিশ্বাস করাবার জন্য পথ মাত্র দু'টি। একটা হচ্ছে লোভ আর একটা হচ্ছে ভয়। ঈশ্বর প্রথমে তার উপাসনা করার জন্য মানুষকে লোভ দেখান। তার উপাসনা করলে এটা দিব, ওটা দিব; মানুষের আরাধ্য সব জিনিস। আর লোভে যদি কাজ না হয়, তাহলে দেখানো হয় ভয়। আর এই পুরো প্রকৃয়াটা চালানোর জন্য একটি বিধান দেয়া হয়। সেই বিধানের বাইরে যাই থাকে তার সবই অন্যায় অনৈতিক। আর বিধানের ভেতরের সব কাজ ঠিক মতো করলেই লোভনীয় সব জিনিস পত্র পাবার হাতছানি। আর বিধানের বাইরের কাজ করলে ভয় ভীতি দেখানো শুরু হয়ে যায়।

মৌলবাদের চাপাতিতে আলোকিত প্রাণ অনন্ত বিজয় দাশ সহ অন্যান্য ব্লগার ও লেখকদের হত্যার বিচারের দাবিতে

লেখক: সাকিব আহমদ মুসা

অনন্ত বিজয় এর মত আরো অনেক মুক্তচিন্তার লেখক ব্লগার-কে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিতে হয়েছে মৌলবাদীদের চাপাতির হাতে। আর ইতি মধ্যে কিছু মুক্ত চিন্তার লেখক ব্লগার প্রানে বাঁচার ভয়ে নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপ আমেরিকাতে। মৌলবাদীরা ব্লগার ও লেখকদের কারনে ইসলাম ধর্ম নিয়ে এতটা হুমকির মুখে পড়ে গেছে এখন, ইসলাম ধর্মীয় গোস্টিগুলোর এমন ধারনার সাথে একমত বলেই বাংলাদেশ ছুট্ট রাষ্ট্রে এক বছর পার হয়ে গেলে ও অনন্ত হত্যার চার্জশিট দাখিল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না রাষ্ট্রে ।

বাংলাদেশকে ইসলামী গোস্টিগুলোর রাষ্ট্রে ধর্মীয় অমানবিক পথে কায়েম করার লক্ষ্যে প্রচ্ছন্ন করার সহযোগীতার কারনেই হত্যাকারীরা পালিয়ে যাচ্ছে ইউরাপ আমেরিকার মতো অন্যান দেশগুলিতে। আর দেশ রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনী সন্দেহভাজন ভাবে  পালিয়ে যাবার সময় আটক ও করছেন অনেক কে। এমনকি আটককৃত অভিযুক্তরা জামিন নিয়ে বের হয়ে নতুন করে  বিজ্ঞান মনষ্ক লেখক ব্লগার দেখে দেখে হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে ইসলামী জঙ্গী গোষ্টীরা। বাংলাদেশ রাষ্ট্র নির্বিকার, খুনীদের আটক করে বিচারের ব্যবস্থা না করে মুক্তিচিন্তকদের লেখা খতিয়ে দেখার কথা বলে খুনীদের হত্যার মাধ্যমে মৌলবাদীদের ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দিচ্ছে।

মুক্তচিন্তার লেখক ব্লগার অনন্ত বিজয় সহ অন্যান্য ব্লগারদের হত্যা করে মুক্তচিন্তাকে বাঁধাগ্রস্থ করা যাবে না, এটাই প্রমাণিত। এখন শতশত অনন্তের জন্ম হচ্ছে মুক্তচিন্তার পতাকা হাতে নিয়ে প্রতিটা অনন্তের হত্যার পর ।

রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে অনন্তদের মত নতুন প্রজন্মের বুদ্ধিজীবি হত্যার এবং হত্যাকান্ডের সহযোগীদের বিচার একদিন হবেই। নিজামীদের মত পরিণতি একদিন ভোগ করতেই হবে অনন্ত বিজয়’দের হত্যার সাথে জড়িতদের। যেভাবে বিচার হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বুদ্ধিজীবিদের হত্যার।

আমরা এখনো আশা করছি, সরকার ধ্বংসের পথ পরিহার করে অনন্ত বিজয়সহ সাম্প্রতিক সময়ে সকল মুক্তচিন্তক হত্যার বিচার করে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে।