শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

নামে কিছু যায় আসে, আবার যায় আসেও না


মানুষ বিচিত্র। শান্তি যেমন ভালোবাসে, অশান্তিও বাসে। সে কারণেই চারদিকে অশান্তি। সবাই যদি শান্তি ভালোবাসতো, তাহলে পৃথিবীটা শান্তিময় হত। আজও পৃথিবীতে থেকে থেকে অশান্তি উথলে ওঠে। চিরকালই এমন হয়েছে। কিছু লোক শান্তির জন্য চেষ্টা করে আর কিছু লোক অশান্তি সৃষ্টি করতে ছুটোছুটি করে। পৃথিবী ধ্বংস করার লোকের যেমন অভাব নেই, পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবার লোকেরও অভাব নেই। পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে যারা বাঁচাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমাদের, আমরা যারা বেঁচে আছি, কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

হিটলারের মানবতাবিরোধী মতবাদের বিরুদ্ধে আমরা শুভবুদ্ধির মানুষ দাঁড়িয়েছি। সবাই কিন্তু দাঁড়ায়নি। নানা দেশে, নানা অঞ্চলে দেখি হিটলারের সমর্থক। শুধু ইউরোপে নয়, এশিয়ায় আফ্রিকাতেও দেখি হিটলারের পক্ষে লোক কথা বলছে। মানবতা সবাই মানে না। হিংস্রতার প্রতি কিছু মানুষের আকর্ষণ দুর্দম্য।

অনেকে তাদের সন্তানের নাম রেখেছে হিটলার। অস্ট্রিয়ায় বা জার্মানিতে নয়, ঘটনা ঘটেছে ভারতবর্ষে। বাদামি অনার্যের নাম হিটলার। কালো মুখ কালো চুলের নাম হিটলার। ভারতবর্ষেই কারো কারো নাম শুনেছি স্টালিন। হিটলার আর স্টালিনের ভারতীয় ভক্তরা তাদের পুত্র সন্তানের নাম রেখেছে তাদের গুরুর নামে। বর্বরতাকে মহিমান্বিত করার লোক বিশ্ব সংসারে নেহাত কম নয়।

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

হাসিনা পুত্র জয়ের বরাতে আমরা জানতে পাই ইসলামী জঙ্গী খুনীদের বিচার করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ

লেখক ব্লগার সাকিব আহমদ মুছা: ২০১৫ সাল বাংলাদেশের জন্য এ যাবৎকালের সবচেয়ে অন্ধকার একটা বছর ছিলো। শেখ মুজিব হত্যা যেমন মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত অর্জনকে অস্বীকার করে পাকিস্তানী নিয়ন্ত্রনে নিয়ে গিয়েছিলো প্রিয় স্বদেশকে, ১৫ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ স্বত্তা মুছে যাচ্ছিলো, তেমনি ২০১৫ সাল বাঙালী মনে রাখবে মুক্তবুদ্ধি হত্যার বছর হিসেবে। বাংলাদেশের শেখ মুজিবের কন্যার নজরদারিতে, সরকারের ভেতরের সউদি পাকিস্তানী ঘাপটি মেরে থাকা চরদের প্রত্যক্ষ অসহযোগিতায় খুন হয় একে একে চারজন ব্লগার, একজন প্রকাশক, আহত হয় ব্লগার, কবি, প্রকাশক, জেলে যায় অগনিত ব্লগার, পরিবেশকর্মী পালিয়ে যায় আরো অনেক ব্লগার, লেখক
এই এক বছরেরই বিশ্বের চোখে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে ব্লগার হত্যার স্বর্গরাজ্য, বাংলাদেশ ভুখন্ডটি এখন বাক-স্বাধীনতার শ্মশানে পরিণত হয়েছে, যেখানে নাস্তিক পরিচয় দেয়া মানে সামাজিক একঘরে হওয়া, ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করা মানে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলা। কখন কোথায় আক্রমন হবে, কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না। পুলিস বলে দিয়েছে দেশ ছেড়ে চলে যেতে, কারন হাসিনা পুত্র জয়ের বরাতে আমরা জানতে পাই ইসলামী জঙ্গী খুনীদের বিচার করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তার ভোট ব্যাংক, মানে দশ কোটি মুসলামনের ক্রোধের শিকার হতে চায় না। কিন্তু আমরা জানি সউদি রাজার পদলেহী বাংলাদেশের রাজনীতি, সরকার। তাই সউদি কৃপা হারানোই ভয়ের উৎস।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

শুনেছিলাম স্কুলের পাঠ্যবই নিয়ে ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী আন্দোলন করছে

ফ্রান্স থেকে শুনেছিলাম স্কুলের পাঠ্যবই নিয়ে নাকি বাংলাদেশে বেশ কিছু দিন ধরে ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী আন্দোলন করছে। পাঠ্যবইয়ে নাকি আছে ইসলাম বিরুধী কবিতা, গল্প রচনাবলি লেখালেখি এমন অভিযোগ তুলেছে মৌলবাদী গোষ্ঠী। সংশোধনের দাবিতে সংগঠিত হচ্ছে কওমিপন্থি রাজনৈতিক দল সংগঠনগুলো। এমনকিশিক্ষানীতি ২০১০এবং প্রস্তাবিতশিক্ষা আইন ২০১৬বাতিলের দাবি তুলে আন্দোলন      করছে এসব সংগঠন। ইতিমধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংগঠন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। পাঠ্যবই সংশোধন না হলে আরও তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।


ধর্মভিত্তিক দল সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এসব পাঠ্যবইয়ে যোগ করা হয়েছে ধর্মহীন নাস্তিক হিন্দুত্ববাদের দীক্ষা। আশা করি দেশে এখনও ভালো মানুষ আছেন, যাঁরা দেশটাকে বাঁচাবেন, দেশটাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাবেন।

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

লতিফ সিদ্দিকী হজ্ব নিয়ে যা বলেছেন

লেখক: সাকিব আহহমদ মুছা লতিফ সিদ্দিকী হজ্ব নিয়ে যা বলেছেন, তা ইসলামের ইতিহাস ঘেঁটে দেখেছি, খুব মনগড়া কিছু বলেননি। মুশকিল হল, অধিকাংশ বাঙালি মুসলমান কোরান এবং হাদিস সম্পর্কে খুব কম জানেন, এবং ইসলামের ইতিহাসও তাঁদের পড়া নেই। পাকিস্তানে শেখ ইউনুস নামের একজন ডাক্তার ছিলেন, তিনি একবার একটা বক্তৃতায় বলেছিলেন :
আমাদের নবী মুহম্মদ তাঁর চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত অমুসলিম ছিলেন, এবং শুধু তিনি নন, তাঁর বাবা-মাও মুসলিম ছিলেন না। কারণ তাঁর বাবা মা ইসলাম ধর্মের সূচনা হওয়ার আগেই মারা যান। নবী মুসলমান হন যখন তিনি ইসলাম ধর্মটির প্রবর্তন করেন তাঁর চল্লিশ বছর বয়সে
এই সত্য তথ্যের জন্য শেখ ইউনুসের ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। শেখ ইউনুসের দুর্দশাই প্রমাণ করে, সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান প্রায় নেই বললেই চলে।
কেমন ব্যাপার, আমাদের ভদ্র হতে হবে, সুবোধ হতে হবে, পরিমিতিবোধ থাকতে হবে, যা কিছুই করি যুক্তি থাকতে হবে, এবং তাদের, ধর্মে যাদের বিশ্বাস আছে, বোধ শোধ কিছু না থাকলেও চলবে, তাদের কাজে যুক্তির না থাকলে চলবে, তাদের উগ্র হলে ক্ষতি নেই, যে কারও মাথার দাম ঘোষণা করার অধিকার তাদের আছে, বর্বর এবং খুনী হওয়ার অধিকার আছে, কিন্তু আমাদের সেই অধিকার নেই, আমাদের বলতে আমি ধর্মমুক্তদের কথা বলছি। ঈশ্বরে বিশ্বাস করা লোকেরা ঈশ্বরে বিশ্বাস না করা লোকদের চেয়ে সব সমাজেই বেশি সুযোগ সুবিধে পায়, যদিও তারা আজ অবধি তাদের বিশ্বাস যে ঈশ্বরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেই ঈশ্বরের অস্তিত্বেরই কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। যে কথাটা তুমি শুনতে চাও না, সে কথাটি বলার অধিকারের নামই বাক স্বাধীনতা। বাক স্বাধীনতা তাদের দরকার নেই যাদের মত শুনে কেউ মনে আঘাত পায় না। বাক স্বাধীনতার পক্ষে না থেকে যখন সরকার বাক স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নেয়, তখন নিজের দেশটার ধ্বংস নিজেই ডেকে আনে।
ধর্মানুভূতি নিয়ে আজকাল ধর্মবাজ মৌলবাদীরা ভীষণ ভালো ব্যবসা করছে। এই ব্যবসায় বাংলাদেশে বরাবরই তারা লাভবান হচ্ছে। যতবারই তারা রাস্তায় নেমে চিৎকার করে ভিন্ন মতাবলম্বী কারওর ফাঁসি দাবি করে, জনগণের সম্পত্তি জ্বালানো পোড়ানো শুরু করে, ততবারই সরকার তাদের পক্ষ নিয়ে ভিন্ন মতাবলম্বীকে নির্যাতন শুরু করে। এতে ধর্মবাজদের শক্তি শতগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সমাজকে শতবছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। আমার বেলায় ঠিক এই কাণ্ডই ঘটিয়েছিল সরকার। মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপোসনীতি অবিকল আগের মতোই আছে। খালেদা সরকার ফতোয়াবাজ সন্ত্রাসীদের পক্ষ না নিয়ে সেদিন যদি ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করতো, তাহলে ওদের শক্তি এত এতদিনে এত ভয়ংকর হতো না। আমিও দেশের ছেলে দেশে থাকতে পারতাম। মত প্রকাশের অধিকার বলে কিছু একটা থাকতো দেশে। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা শুধু নয়, সরকারও ক্ষুদ্র স্বার্থে ভিন্নমতাবলম্বীর গণতান্ত্রিক অধিকার লংঘন করে। আজ যদি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা লতিফ সিদ্দিকীকে তাঁর মন্ত্রী পদ থেকে বহিস্কার না করতেন, তবে তিনি দিব্যি দেশে ফিরতে পারতেন। সব তাণ্ডব ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যেতো। চতুর ধর্মবাজরা বুঝতে পারতো এই সরকারের আমলে ধর্মানুভূতির রাজনীতিতে বড় একটা সুবিধে হবে না। লতিফ সিদ্দিকীকে বহিস্কার করা মানে মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের আগুনে মণকে মণ ঘি ঢেলে দেওয়া। তাদের অপশক্তি আবারও বেড়ে যাবে শতগুণ। দেশ পিছিয়ে যাবে আবারও শতগুণ।
লতিফ সিদ্দিকী সম্পর্কে নানারকম তথ্য প্রকাশ হচ্ছে আজকাল। মানুষটা নাকি বড্ড মন্দ ছিলেন। সরকার যখন কাউকে বিপদে ফেলে, তার বন্ধু সংখ্যা কমে গিয়ে শূন্যের কোঠায় চলে আসে। ঠিক আমারও এমন দশা হয়েছিল। আমাকে দেশ থেকে বের করার পর বন্ধু যারা ছিল, হাওয়া হয়ে গেল। আমার বিরুদ্ধে নির্বিচারে অপপ্রচারও শুরু হলো। লতিফ সিদ্দিকী সম্ভবত প্রচুর মন্দ কাজ করেছিলেন। আমি বলছি না তিনি খুব ভালো লোক। আমি শুধু তাঁর নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষ নিয়ে কথা বলছি। আমি লতিফ সিদ্দিকীর মত প্রকাশের অধিকারের যতটা পক্ষে, তাঁর বিরোধীদের মত প্রকাশের অধিকারের ততটাই পক্ষে। লতিফ সিদ্দিকীর মত পছন্দ না হলে তাঁর মতের বিরুদ্ধে লিখুন, বলুন, যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করুন তাঁর মত, কিন্তু তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা, তাঁকে শারীরিক আক্রমণ করা, তাঁকে ফাঁসি দেবো, মৃত্যুদণ্ড দেবো, তাঁকে মেরে ফেলবো, কেটে ফেলবো, মুণ্ডু ফেলে দেবোএইসব বর্বর হুমকির বিপক্ষে আমি।


শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের

লেখক: সাকিব আহহমদ মুছা-১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিজয়ের অনুভূতি সব সময়ই আনন্দের। আজ গৌরবময় মহান বিজয় দিবস। 

আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের; যেসব নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। কোটি কোটি মানুষকে তিনি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন একই লক্ষ্যে অবিচল একদল রাজনৈতিক নেতা। তাদের সবাইকেই আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

প্রজন্মের জয়ধ্বনি বিজয় দিবসে

লেখক সাকিব আহমদ মুছা:- এক সাগর রক্তের বিন্দুু বিন্দুু রক্তের রেখা দিয়ে লেখা আমাদের পবিত্র সংবিধান। লাখ লাখ শহীদের রক্ত মাখা, সবুজ রূপে লাল সূর্য্যআঁকা, এইতো আমাদের জাতীয় পতাকা। স্বাধীন বাংলাদেশ বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। যে অর্জনের মূলে ছিল দেশপ্রেম। বাংলার মাঠে-ঘাটে পরতে-পরতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, গৌরবের কত-না মুক্তা ছাড়ানো এই তো আমাদের বাংলাদেশ। পৃথিবীর বুকে আর কয়টি দেশ আছে? যে দেশের নিরিহ, নিরপরাধ, নিরস্ত্র জনগণ হয়েও শুধুমাত্র দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার জন্য, জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত হয়েছে। মানুয় হয়ে মানুষ দ্বারা অপমান লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। মাতৃভূমির প্রতি প্রতিজ্ঞা রক্ষা করা। নিরস্ত্র থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। পৃৃথিবীকে জানান দিয়েছে, বাংলাদেশ নামে একটি রাষ্ট্র মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নিতে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের এই গৌরবের কথা আমাদের সবার জানা। সঠিক ইতিহাসের গর্বকে আরো দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করার ক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছি আমরা, অন্ধকারকে বেধ করে আলোর যাত্রী হয়ে। আমরা জেনেছি, আমাদের পূর্ব-পুরুষেরা আমাদের স্বাধীনতার গর্বকে অর্জন করেছেন মুক্তির সংগ্রামের মধ্য দিয়ে