রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭

ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা বলেছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-কে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরুধ ও তার জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করতে হবে।

তা না হলে বাংলাদেশে জামায়াত শিবির, হরকাতুল জিহাদ, আনসার উল্লাহ বাংলাটিম, হেফাজতে ইসলাম সহ ইসলামী সংগঠন গুলো  তারা তাদের দলকে টিকিয়ে রাখতে ভিন্ন সময় ভিন্ন নামে বা ভিন্ন রূপে বাংলার স্বাধীন মাঠিতে ধানের ছড়ার মতো দল জাগিয়ে  গুচিয়ে লাফিয়ে উঠতে পারে।

আমার মনে হয় বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ব্লগার হত্যার এই বিষয়গুলিকে অবহেলার দূষ্টিতে দেখছেন। তারই ধারা বাহিকথায় বাংলাদেশে একের পর এক বিজ্ঞান মনষ্ক লেখক ব্লগার রাজিব হায়দার-কে ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয় ইসলামী সংগঠনগুলি আর বেশ কিছু বিজ্ঞান মনষ্ক লেখক ব্লগার-কে হত্যা করেন বাংলার মাঠিতে যেমন, অভিজিত রায় ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫, অনন্ত বিজয় দাস ১২ মে ২০১৫, ওয়াশিকুর বাবু ৩০ মার্চ ২০১৫ ইত্যাদি আরো অনেক ব্লগারকে হত্যা করা হয়।   

তাই আমি মনে করি এখন থেকে সকল মা-দের-কে সন্তানদের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। সন্তানের সঙ্গে মায়েদের বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধুত্ব সুলভ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে আর কেউ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির পথে যেতে না পারে।

সন্তানের জন্য সব থেকে বড়ো বন্ধু হবেন ‘মা’। মা’য়ের কাছে সন্তান যেন নির্দ্বিধায় তার যে কোন সমস্যার কথা বলতে পারে সেই ধরনের একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যেটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

 ‘একটা কথা মা-বোনদের বলে রাখি- বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোন স্থান নাই। মাদকাসক্তি থেকে সন্তানদের রক্ষা করতে হবে।

‘এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ছেলে-মেয়েরা যেন লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

লেখক: ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা


একজন সাকিব এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত

লেখক: সাকিব আহমদ মুছা
১) ২০১৭এর ফেব্রুয়ারী, ধর্ম প্রচারক সাকিব আহমদ মুছা- কে মহানবী কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ব্লাসফেমী আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয় । এককালের বাঙ্গালীর বিখ্যাত গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং পেশায় সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা ২০১৪ সালে তার পেশা, নেশা দুইটাই ছেড়ে ধর্ম প্রচারে মনোনিবেশ করেন । ২০১৭ তে ব্লাসফেমীর অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার […]

শনিবার, ৪ মার্চ, ২০১৭

নব-নাস্তিক্যবাদ ও এর কাণ্ডারিরা

একবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে লেখনীর মাধ্যমে নাস্তিক্যবাদী দর্শন প্রচার করে আলোচনায় উঠে আসা লেখকদের ‘নব-নাস্তিক্যবাদী’(New Atheists) বলে আখ্যায়িত করা হয়। এই লেখকদের মধ্যে রয়েছেন স্যাম হ্যারিস, রিচার্ড ডকিন্স, ড্যানিয়েল ড্যানেট এবং ক্রিস্টোফার হিচেন্স। এই লেখকেরা তাদের বইতে ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। সাংবাদিকতার ভাষায় এই লেখকদেরকে ‘নব-নাস্তিক্যবাদী’র তকমায় ভূষিত করা হয়। এরা নাস্তিক্যবাদের চার […] 

লেখক সাকিব  আহমদ মুছা

বুধবার, ১ মার্চ, ২০১৭

সাংবাদিকরা কাজ করেন গাছ এবং গাছের পাতার মতির মত

সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতীর বিভেক, কলম সৈনিক শুধু তা না সাংবাদিকরা কাজ করেন গাছ এবং গাছের পাতার মতির মত । আজ সাংবাদিকরা ইউরোপে বসে বাংলাদেশের মত সারা বহিরবিশ্বে তারা তাদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি আশাকরি আজকের মতো আগামীতেও নিরিপেক্ষ ভাবে তারা তাদের কোরধার কলম চালিয়ে যাবেন।
লেখক: সাকিব আহমদ মুছা

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

নবী আহাম্মক পৃথিবীতে আসার পর থেকে শুরু হল সিয়া আর সুন্নি

যরত আলী পৃথীবিতে নবী হিসাবে থাকার কথা ছিল। কিন্তু নবী আহাম্মক এর কারনে তা হতে দিলেন না। হযরত আলীকে টকিয়ে তিনি নিজেকে নবী হিসাবে পৃথিবীতে ঘোষিত করলেন নবী আহাম্মক।

আজ সিরিয়ার দিকে থাকালে দেখা যায় সিয়া সুন্নি নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে রক্তের খেলায় লেলিহান ভেসে গেছে। এই কপাল পুড়া নবী আহাম্মক এর জন্য দায়ী।

আর আজ হাতের লেখা কপাল পুড়া কোরআন নিয়ে মুসলমানরা একের পর এক বিজ্ঞান মনষ্ক লেখক ব্লগার দেখে দেখে ইসলামী জামায়াত শিবির জঙ্গী গোষ্ঠি পর্যন্ত বেশ কিছু আমার পরিচিত ব্লগার বন্ধু দেরকে হত্যা করা হয়েছে।


মুসলমানরা জানে না যে পৃথিবীতে আল্লাহ বলতে কিছু নেই। আমরা নিজ থেকে নিজেরাই সৃষ্টি। আসলে বলতেগেলে কি মুসলমানরা এখনও জানার দিক দিয়ে মানি বিজ্ঞানের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে।
লেখক সাকিব আহমদ মুছা

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফ্রান্স শাখা

পুলিশ বাহিনীকে ব্লগার হত্যার তদন্তে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে

ব্লগার হত্যা জাতির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্লগার হত্যা এমন একটা বিষয়, যার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা কোনভাবেই ব্লগার হত্যা এড়িয়ে যেতে পারি না। ব্লগার হত্যা এড়িয়ে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়, এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যদি এগিয়ে যেতে চান, তাহলে ব্লগার হত্যার ঘটনা এড়িয়ে যাবেন না। সুতরাং এটা প্রমাণিত যে, ব্লগার হত্যা মোটেও অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আমি বলতে চাই, পুলিশ বাহিনী এসব ব্লগার হত্যার রহস্যের উন্মোচন করতে প্রাণবাজি রাখবে। হত্যার পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করতে জানবাজি রাখবে। হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া খুনীদের ধরতে প্রাণবাজি রাখবে। তোমরা যেসব পুলিশ সদস্য প্রাণবাজি রাখতে অপারগতা জানাবে, বুঝতে হবে তাদের প্রাণের কোন মূল্য নাই, গুরুত্ব নাই। তাই নিজের প্রাণের মূল্য প্রমাণ করতে পুলিশ বাহিনীকে ব্লগার হত্যার তদন্তে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মুহাম্মদের জন্মরহস্যঃ সেক্যুলার ফ্রাইডে

মুহাম্মদের জন্মরহস্যঃ সেক্যুলার ফ্রাইডে
-------------------------
বাংলায় 'জার' শব্দটি যখন বিশেষ্য, তখন তার একটি অর্থ হয়ে ওঠে - গুপ্ত প্রণয়ী; সমাজের চোখে সম্পর্কটি বৈধ নয় এবং সে প্রণয়ের ফলে জন্মে যে-শিশু, তার প্রধান পরিচয় হয়ে ওঠে - সে জারজাত বা জারজ। বস্তুত বৈজ্ঞানিক ও মানবতাবাদী দৃষ্টিতে জারজ বলে কিছু নেই, কোনো শিশু, কোনো মানুষই অবৈধ নয়; শুধুমাত্র ধর্মের প্রভাবে ধর্মসিদ্ধ বিবাহ-আচারটি ও তার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সমাজ-সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবার তাগিদে সমাজবদ্ধ মানুষেরা এই 'জারজ' শব্দটিকে পরিণত করেছে অত্যন্ত নেতিবাচক একটি শব্দে, মিশ্রিত করেছে স্ব-আরোপিত ঘৃণার সাথে, এবং বঞ্চিত করেছে সামাজিক পরিচয়, উত্তরাধিকার ও বংশবৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত সকল অধিকার হতে; এমনকি প্রণয়ের এই সম্পর্কটিকে ব্যভিচার নামে আখ্যা দিয়ে ভিন্ন-ভিন্ন সমাজব্যবস্থা নির্ধারণ করেছে ভিন্ন-ভিন্ন শাস্তির, যার সবচাইতে বর্বর রূপটি পাওয়া যায় প্রাচীন মরুসংস্কৃতিতে, যার নাম রজম বা পাথর ছুঁড়ে হত্যা।
রজমের ভয়াবহ বর্বর দিকটি সম্পর্কে মুমিনেরা অবগত; অতি নির্মমতার কারণেই এই প্রথাটি মেনে নেওয়া অসম্ভবও; কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে - অধিকাংশ মুসলমান এ নিয়ে মুখ না খুললেও প্রকারান্তরে পুরুতান্ত্রিকতার প্রবল সহিংস প্রকাশটিকে সমর্থনই করেন। এরই বিপরীত চিত্র হচ্ছে - ব্যভিচারকে চরম বর্বরভাবে দেখলেও, জারজ সে শিশুকে সকল সামাজিক পরিচয় ও উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করলেও সেই মরুসংস্কৃতিই আবার জারজ শিশুটির প্রতি প্রশংসনীয় সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। পিতৃ-পরিচয় না জানলে তাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য করার উপদেশও দিয়েছে [সূরা আল-আহযাব ৩৩/৫]; খ্রিষ্টধর্মেও জারজ সন্তানদেরকে ঘৃণা করাকে বিশেষভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
বহু জারজ সন্তান এবং দাসী-সন্তান খলিফাও হয়েছেন, এমনকি আরবদের পিতা ইসমাইল নিজেও দাসী-পুত্রই। আশ্চর্যজনক অপর একটি সত্য হল - অধিকাংশ কথিত নবী-রসুলদের সুস্পষ্ট পিতৃপরিচয় পাওয়া যায় না, অথবা যেগুলো পাওয়া যায়, তার প্রায় সকল তথ্যই অসত্য এবং মিথ্যা দাবির ওপর প্রতিষ্ঠিত। পিতা ছাড়াই যিশু খ্রিষ্টের জন্মকে ব্যভিচারের লজ্জা থেকে বাঁচাতে যে-অলৌকিক গল্পের অবতারণা করা হয়, সেটা কেবল হাস্যকর প্রমাদই নয়, গোটা মানবগোষ্ঠীর সাথে প্রতারণাও বটে; কিন্তু তাবত মুমিন, কোনও এক অদ্ভুত কারণে, আজও এই মিথ্যাকে পরম শ্রদ্ধায় বিশ্বাস করে চলেছেন।
অপর বিখ্যাত নবী মুহাম্মদের জন্মকাহিনীও দারুণ রহস্যভরা; তাঁর জন্মের ঔরস নিয়ে যুগে যুগে সংশয় প্রকাশ করে গেছেন সকল ঐতিহাসিকই, আর ইসলামের নব্য ঐতিহাসিকেরা প্রবল শঠতায় সেগুলোকে ধামা চাপা দেয়ার প্রবণতায় সৃষ্টি করেছেন কৌতূহলোদ্দীপক সব গল্পের। এমনকি ইসলামের ইতিহাসের মৌলিক সূত্র ইবনে ইসহাক, আল তাবারি, আল হালাবি, ইবনে কাথিরের মত সর্বকালীন স্কলারদেরও তাঁরা অবজ্ঞা ভরে অস্বীকার করার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেন। প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং প্রখ্যাত প্রকাশনার এনসাইক্লোপিডিয়াগুলোও তাঁদের চোখে ষড়যন্ত্র মাত্র।
মুহাম্মদের জন্মরহস্যের মৌলিক সূত্রটি নিহিত কুরাইশ বংশের ইতিহাসে, অপরাপর সূত্রগুলোর মধ্যে তৎকালীন আরবীয় গোত্রগুলোর বৈবাহিক প্রথা, যৌনাচার, পারিবারিক সংস্কৃতি ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্ববহ। মুহাম্মদ-মৃত্যুপরবর্তীকালে আরব জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং সেই জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা সংহত করার রাজনৈতিক কৌশলের ধারাটির অনুধাবনও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনার দাবি রাখে।
মক্কায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত গোত্রগুলোর মধ্যে কাবার তত্ত্বাবধায়কের কাজটি ন্যস্ত ছিল কুরাইশদের হাতে। অর্থোপার্জনের অন্যতম এই উৎসটি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে গোত্রদ্বন্দ্বের অন্যতম একটি কারণ এবং বহুধা বিভক্ত কুরাইশদের মধ্যে সৃষ্টি হয় প্রধান দুটি গোত্রের - হাশিমি গোত্র ও উমাইয়া গোত্র। উমাইয়া ও হাশিমি - এই দুই গোত্রের দ্বন্দ্ব এসে চরমাকার ধারণ করে হাশিমি নেতা আব্দুল মুত্তালিবের সময়ে; এই আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিমের ঔরসে দশ পুত্র ও ছয় কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। পুত্ররা হলেন: আল-আব্বাস, হামযা, আবদুল্লাহ, আবুতালিব, যুবায়ের, হারেস, হাজলা, মুকাওয়েম, দিরা, আবু লাহাব (প্রকৃত নাম আবদুল উয্যা) এবং কন্যারা হলেনঃ সাফিয়া, উম্মে হাকিম আল বায়দা, আতিকা, উমায়মা, আরওয়া, বাররাহ।
আবদুল মুত্তালিবের অন্যতম একটি সাফল্য ছিল যমযম কূপ পুনঃখনন ও তার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মরুভুমির পরিবেশে যা ছিল অত্যন্ত গুরুত্ববহ। তিনি এক পর্যায়ে মানত করেছিলেন যে, যদি তাঁর দশটি সন্তান জন্মে এবং তারা তাঁর জীবদ্দশায় বয়োপ্রাপ্ত হয়ে তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়, তাহলে তিনি একটি সন্তানকে কা’বার পাশে কুরবানী করবেন। এ ধরনের মানতের জন্য নির্ধারিত প্রথা ছিল তীর টানার মধ্য দিয়ে ‘হুবাল’ দেবমূর্তির কাছে ভাগ্য পরীক্ষা; তীরে যা লেখা থাকবে সে ফায়সালাই হবে চূড়ান্ত ফায়সালা; তীরের এই পরীক্ষায় আবদুল্লাহ'র নাম উঠে এলে আবদুল মুত্তালিব তাকেই কুরবানি করতে উদ্যত হন; পরবর্তীতে অন্যান্য কোরাইশ নেতা ও তার পুত্রদের অনুরোধে মুক্তিপণ দিয়ে অব্যাহতি নেন, উল্লেখ্য যে এই মুক্তিপনের জন্য দশ বার তীর টানা হয় এবং একশত উটের বিনিময়ে আবদুল্লাহ তার প্রাণভিক্ষা পান।
মুহাম্মদের দাদা মুত্তালিব আরবদের স্বাভাবিক নারী-পাগল প্রবণতার বাইরে ছিলেন না, তিনি নিজেও একাধিক বিবাহ করেন; এমনকি তিনি যখন তাঁর পুত্র আবদুল্লাহ'র সাথে অয়াহাব ইবন আবদ মানাফের কন্যা আমেনার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান, তখন কথাবার্তা চালাতে গিয়ে অয়াহাবের ভাগ্নি হালার রূপদর্শন করে মোহিত হন এবং তার পাণিপ্রার্থী হন। অয়াহাব তাতে সম্মত হলে পিতা ও পুত্রের বিয়ের অনুষ্ঠানও একই দিনে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল মুত্তালিব আর হালার ঘরে যে পুত্রসন্তান জন্মায় তারই নাম হামজা; ইনি মুহাম্মদের অন্যতম খ্যাতনামা সাহাবি ছিলেন, এবং ইসলামী সূত্রমতে - তিনি মুহাম্মদের চাইতে বয়েসে চার বছরের বড় ছিলেন। আবদুল্লাহ ও আমিনার বৈবাহিক সম্পর্কটি খুব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; বিয়ের ৬ মাসের মধ্যেই আবদুল্লাহ অকাল মৃত্যুবরণ করেন। ইসলামী সূত্রমতে - এ সময় আমিনা গর্ভবতী ছিলেন এবং কিছুদিনের মধ্যে মুহাম্মদ জন্মগ্রহন করেন।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে: এই হামজা মুহাম্মদের চাচা হলে এবং তিনি বয়েসে মুহাম্মদের চাইতে চার বছরের বড় হলে এবং মুহাম্মদ আবদুল্লাহ'র ঔরসজাত সন্তান হলে আমেনা কি সকল লৌকিক নিয়মের বাইরে চার বছরব্যাপী গর্ভবতী ছিলেন? সেটিও কি একটি মু'জেজা? তবে এই বিশেষ মু'জেজাকে কেন গোপন করবার চেষ্টা করা হয়? সুরা রা'দ, আয়াত ৮-এ কি তাই আল্যা বলেছেন, "আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সঙ্কুচিত ও বর্ধিত হয়। এবং তাঁর কাছে প্রত্যেক বস্তুরই একটা পরিমাণ রয়েছে।"
জাগতিক নিয়ম মেনে মুহাম্মদ আমেনার পুত্র হলেও আবদুল্লাহ'র ঔরসজাত সন্তান হতে পারেন না; জাগতিক নিয়মে ও ধর্মের সংজ্ঞায় তিনিও একজন জারজ সন্তান। গুপ্ত সে প্রণয় আজও গুপ্তই রয়ে গেছে।

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

আল্লা ও নবীর বাণীঃ- ১১


তোমরা তবুও কি বলবে তালেবান, বোকো হারাম, আইসিসরা ইসলামকে বিকৃত করছে?
.
**আবূ হুরাইরা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেনঃ তোমরা ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং পাথরের আড়ালে লুকানো ইয়াহুদী সম্পর্কে উক্ত পাথর একথা না বলা পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। হে মুসলিম! এই আমার আড়ালে ইয়াহুদী লুকিয়ে আছে, একে হত্যা কর। —(বুখারী. হাদীস নং ২৯২৬) 
**হে মুমিনগণ! ঐ কাফিরদের সাথে যুদ্ধ কর যারা তোমার আশে-পাশে অবস্থান করে, আর যেন তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা পায়; আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ পরহেযগারদের সাথে রয়েছেন। —(সূরা তাওবা৯, আয়াত ১২৩) 
**অতপর, যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যায় তখন ঐ মুশরিকদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর, তাদেরকে গ্রেপ্তার কর, তাদেরকে অবরোধ করে রাখো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিস্থলে তাদের সন্ধানে অবস্থান কর, অতপর যদি তারা তওবা করে নেয়, নামাজ আদায় করে এবং যাকাত দেয়, তবে তাহাদের পথ ছেড়ে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাপরায়ণ, পরম করুনাময়। —(সূরা তাওবা৯, আয়াত ৫)

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭

বাংলাদেশ সরকার সউদি পা-চাটা।


সউদি আরব নাস্তিকদের সন্ত্রাসী ঘোষণা দিয়েছে। 
বাংলাদেশ সরকার ব্লাসফেমী আইন করেছে।
সউদি আরব তাদের কল্পিত আল্লার 'ইমেজ' রক্ষায় বদ্ধপরিকর। 
বাংলাদেশ সরকার সউদি আল্লার ইমেজ রক্ষায় নাস্তিকদের জেলে ঢোকাচ্ছে।
সউদি পা-চাটা ইসলামিস্ট গুন্ডাবাহিনী বিশ্বজুড়ে নাস্তিকদের ওপর আক্রমন করছে।
বাংলাদেশ সরকার নাস্তিকদের হুঁশিয়ারী দিচ্ছে সীমা অতিক্রম না করবার। জেলের ভয় দেখাচ্ছে।
সউদি আরব ইসলামিক স্টেট বা ‌'দায়েশ' এর পেছনে অর্থ, অস্ত্র ঢালছে।
দায়েশ ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী লক্ষ্য। প্যারিসের পরেই।
বাংলাদেশ সরকার ক্রমাগত অস্বীকার করছে বাংলাদেশে দায়েশের অস্তিত্ব।
সউদি সরকার ‌'সন্ত্রাস-বিরোধী' জোট করেছে। সেই জোটে ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন অনুপস্থিত।
বাংলাদেশ অতি আগ্রহের সাথে সেই জোটে অংশীদার হয়েছে।
সউদি আরবে ভিন্ন ধর্ম সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। কোন মন্দির, চার্চ নির্মান সম্ভব নয়। 
বাংলাদেশে মসজিদে গ্রেনেড হামলা এবং গুলি হয়েছে, শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে বোমা বিষ্ফোরণ হয়েছে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর ক্রমাগত আক্রমন চলছে। দেশে হিন্দুদের সংখ্যা রাতারাতি নেমে গেছে। প্রতিদিনই বিবিধ মন্দিরে আক্রমন চলছে।
সউদি আরবে ব্লগ লেখার অপরাধে ব্লগার জেলে, বেত্রাঘাত নিয়তি। কবি জেলে ধর্মত্যাগের অপরাধে। সরকারী বিরোধী আন্দোলনকারীদের গন-শিরোচ্ছেদ নিয়মিত ঘটনা। 
বাংলাদেশে ব্লগার, প্রকাশক, বুদ্ধিজীবিরা আক্রান্ত হচ্ছে, হুমকি পাচ্ছে বিবিধ উপায়ে।
এ সবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
বাংলাদেশ সুখে আছে, ভালো আছে।
বছরে একবার সমবেত সংগীতে জাতি জাগ্রত হয়।
রাজাকার নেড়েচেড়ে সরকার ভালোই দেশ এগিয়ে নিচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দেয়, আবার খুলে দেয়। তারপরে সবার একাউন্টে ঢুকে পড়ার কল্পকাহিনী শোনায়।
বোকা বাঙালী সরকারের মুখপানে চেয়ে থাকে, নতুন নতুন বলদারগু পাবার আশায়।
বাংলাদেশ সুখে আছে, ভালো আছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনায় সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যাচ্ছে।
----- সাকিব আহমদ মুছা।

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭

ইসলাম মানে রক্ত-রক্ত খেলাঃ

নবীর প্রথম স্ত্রী খাদিজার মেয়ের নাম ফাতেমা। ফাতেমার স্বামীর নাম আলী। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর যারা ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তাঁদের বলা হয় খলিফা। আলী হলেন তাঁদের একজন এবং তিনি ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা। ইসলামের প্রথম খলিফার নাম আবু বকর এবং তিনি ছিলেন মুহাম্মদের ছোট স্ত্রী আয়েশার পিতা। প্রসঙ্গত বলে রাখি, খলিফা শব্দের অর্থ - রাষ্ট্রপ্রধান এবং হযরত শব্দের অর্থ - সম্মানিত ব্যক্তি।
মুহাম্মদের মৃত্যুর পরের দিন থেকেই খলিফা নির্বাচনে বিরাট সমস্যা দেখা দেয়। নবীর মেয়ে ফাতেমার স্বামী আলী ছিলেন খলিফা হওয়ার অন্যতম দাবিদার। আবার মুহাম্মদের অন্য দুই মেয়ে রোকেয়া এবং কুলসুমকে বিয়ে করেছিলেন উসমান। তাই উসমানও খলিফা হওয়ার দাবি রেখেছিলেন।
ঘটনা এতই জটিল হয়ে ওঠে যে, হযরত মুহাম্মদ মারা গেলেন - এই কষ্টের ঘটনা থেকেও বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠল, কে হবে খলিফা অর্থাৎ রাষ্ট্রের প্রধান। এমন সময় উমর ঘোষণা দেন, আবু বকর হবেন ইসলামের প্রথম খলিফা। উমরের আবু বকরকে খলিফা ঘোষণার বিষয়টির চরম বিরোধিতা করল অনেকেই, যাদের দু'জন হলেন নবীর মেয়ে ফাতেমা এবং তার স্বামী আলী। মূলত এই বিরোধিতা থেকেই জন্ম নেয় শিয়া-সুন্নি মতবাদ। আলীর পক্ষে যারা ছিলেন, তাঁরা হলেন শিয়া।
নবীর সব থেকে কনিষ্ঠ স্ত্রী আয়েশার পিতা অর্থাৎ ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর রাষ্ট্রের প্রধান হওয়ার পর নির্দেশ দিলেন নবীর মেয়ে ফাতেমা এবং তার স্বামী আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের। আলী পালিয়ে ছিলেন, কিন্তু আহত হয়ে মারা গেলেন ফাতেমা। প্রিয় পাঠক, প্রসঙ্গত বলে রাখি, এই ঘটনা ঘটেছিল নবীর মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে। তাহলে দেখুন, ইসলামের প্রথম থেকেই নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা ছিল।
ইসলামের প্রথম চার খলিফার মধ্যে তিনজন নিহত হয় নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলার কারণে। এমনকি মজার বিষয় হল, ইসলামে উটের যুদ্ধ নামে একটি যুদ্ধের ইতিহাস আছে। এই যুদ্ধটি হয়েছিল নবীর ছোট স্ত্রী আয়েশা এবং নবীর মেয়ের জামাই আলীর মধ্যে।
খলিফা আলী, খলিফা উসমান, খলিফা উমর সবাই নিজেদের মধ্যে কোন্দলের ফলে খুন হন। মুহাম্মদের সব থেকে কাছের মানুষ ছিলেন মুয়াবিয়া, তাঁর পুত্রের নাম ইয়াজিদ। তিনিও মুসলমান ছিলেন, অথচ নির্মম সত্য হলো - মুহাম্মদের বংশের সবাই মারা যায় ইয়াজিদের হাতে।
ইসলামের বিশাল ইতিহাসের এই কথাগুলি সহজভাবে বলার চেষ্টার কারন হল, যাঁরা মনে মনে করেন, দেশে ইসলামী শাসন কয়েম হলেই দেশ সম্পূর্ণ শান্তিতে থাকবে, তাঁরা আসলে বিশাল ভুলের মধ্যেই আছেন। ইসলামের ইতিহাসের শুরু থেকেই থেকেই এক ইসলামী জাত জাত অন্য ইসলামী জাতকে পছন্দ করতো না, যা আজও আছে। যে কারণে আজও পাকিস্তানে, ইরাকে, সিরিয়ায় শিয়া মসজিদে সুন্নি বোমা ফাটায়, সুন্নি মসজিদে ওয়াবি তাণ্ডব চালায়। এমনকি সৌদি আরবেও বোমা হামলা হয়।বাংলাদেশেও সেইদিন খুব দূরে নয়। ----- সাকিব আহমদ মুছা।