গ্রীস থেকে পশ্চিমা বিশ্বের উত্তর ইউরোপে বড় দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য
বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা যে দুর্গম সরু পথ ব্যবহার
করেন সেটা বাল্কান ট্রেইল নামক হিসেবে পরিচিত। এই দুর্গম পথই শরণার্থীরা
ব্যবহার করেন পশ্চিমা বিশ্বের বড় দেশগুলোতে যেমন ফ্রান্স, জার্মানী সহ
ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ প্রবেশের জন্য। কিন্তু স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়াসহ
মধ্য ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ পশ্চিমা বিশ্বের বড় দেশগুলোতে যাতে করে
শরণার্থীগণ প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর
এই বাল্কান ট্রেইলও অবরোধ করা হয়েছে।
বাল্কান ট্রেইলের পার্শ্ববর্তী দেশ স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া মঙ্গলবার
বলেছে, এই পথ দিয়ে আর কোনো শরণার্থীকে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
পার্শ্ববর্তী হাঙ্গরীর নিকট আত্মীয় দেশ সার্বিয়াও খুব শিগগিরই এই দলে যোগ
দেবে বলে হুসিয়ারি সহ ইতি মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভেনিয়া বলেছে, কেবলমাত্র মানবাধিকারের
স্বার্থে স্মানবতার খাতিরে আশ্রয়প্রার্থী এবং শেনজেন এলাকার (২৬টি ইউরোপীয়
দেশের এলাকা) আইন অনুযায়ী তারা হয়তো কোন শরণার্থীকে প্রবশাধিকারের বিবেচনা
করবে। আন্যতায় আর কোনো ক্ষেত্রেই করবে না করা যাবে না বলে উল্লেখ্য করেন।
দিন কয়েক আগে অস্ট্রেলিয়াও শরণার্থীদের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জোরদার
করেছে। গ্রীসও শরণার্থীদের প্রতি কঠোরতা দেখাতে ছাড়েনি এমনকি ছাড় দেয়নি।
এতে করে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গ্রীস সিমান্তে প্রায় ১৩ হাজার এর
মতান্তরে শরণার্থীগণ এসে জড়ো হয়ে যায়।
পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত রাষ্ট ইংল্যান্ড তো আগে থেকেই এ ব্যাপারে নারাজ।
তারা এমনকি শরণার্থী প্রশ্নে ইইউ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার জোগাড় করে ফেলেছে।
একমাত্র পশ্চিমা বিশ্বের মানবাধিকারের বড় দেশ জার্মানিই, ফ্রান্স ইউরোপের
একমাত্র দেশ যারা প্রচুর পরিমাণ শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। এতে জার্মান
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের ও ফ্রান্স এর প্রেসিডেন্ট ফসোয়া উলাদ এর
ভুমিকাই সবচেয়ে বেশি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন