বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১৬

৭৫বছর জীবন নৌকার বৈঠা বেয়েও তীর পেলনা সুলেমান মিয়া

নোমান চৌধুরী : জীবন যুদ্ধে ৭৫ বছর পেরিয়ে এখন বেলা শেষের হাত ছানি। তবুও  জীবন নামের রেল  গাড়ী তার আপন গন্তব্যের ঠিকানা খুজে পায়না। সিলেট শহরতলির এয়ারর্পোট থানার বড়শালা ছালেপুর গ্রামের সুলেমান মিয়া। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে এতটা বছর পেড়িয়ে এসেছেন। সহায় সম্বল হীন অসহায় এই বৃদ্ধ তৃণভোজী প্রানীর আহার বিক্রী করেই সংসার নির্বাহ করে থাকেন।
সিলেট নগরীর জেল রোড এলাকায় টানা ৪০ বছর ধরে গো খাদ্য ঘাস বিক্রী করে আসছেন তিনি। তার সাথে কথা হলে ফেলে আসা জীবনের অনেক কথাই বলেন তিনি। তৎতাকলিন পাকিস্থানী সাশক আইয়ুব খান সরকারের সাশনামল থেকেই এ পেশায় জরিত হয়ে আজও পর্যন্ত টিকে আছেন।
সিলেটের হরিপুর, দরবস্তত, জৈইন্তা সহ আসপাশের এলাকাগুলো থেকে নিজেই এসব ঘাস কেটে নিয়ে আসেন। পরে তা ছোট বড় আটিতে বেধে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন ঘাস বাজার ক্ষ্যত জেলরোড পয়েন্টে। প্রতিদিনের ঝক্কি ঝামেলা আর ঝর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তার এই পথ চলা। প্রতিদিন প্রায় আটশ থেকে হাজার টাকার ঘাস বিক্রী করতে পারেন বলে তিনি জানান। এ ঘাস বিক্রির  টাকা দিয়েই দিয়ে সংসার চালান সুলেমান মিয়া । সংসার জিবনে চার সন্তানের জনক তিনি, দুই ছেলে আর দুই মেয়ে। এখন পর্যন্ত নিজের কাধেই সংসারের ঘানি টেনে বেড়াচ্ছেন। বড় ছেলে বাবুল মিয়া বাবার সাথে মাজে মধ্যে ঘাস বিক্রীতে সহায়তা  করে থাকে তবে তা নিয়মিত নয়। দ্বিতীয় ছেলে রিস্কা চালিয়ে সামান্য যা রোজগার করে থাকে তার কিছুটা বাবার হাতে তুলে দিলেও তা পর্যাপ্ত নয়। মেয়ের দুটোর একটির  বিয়ে দিয়েছেন অন্যটি  স্কুলে লেখা পড়া করে । তার সাথে আরো যারা এ পেশায় নিয়োজিত আছে তাদের মধ্যে শুক্কু মিয়া, হান্নান মিয়া , সামাদ মিয়ারাও গোখাদ্যের যোগান দিচ্ছেন দীর্ঘদিন জেল রোড পয়েন্টে এ ব্যবসায় জরিত থেকে।রিপোর্টার আলোক চিএ সাকিব আহমদ মুছা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন