ক্যাপশন যুক্ত করুন |
সিলেট : আগামী মার্চ ও এপ্রিলজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। তৃণমূলের এ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে চলছে নানা তৎপরতা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। পিছিয়ে নেই ধর্মভিত্তিক দলগুলোও।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে জয়লাভের পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান শক্ত করা ও নিজ দলের প্রতীককে মানুষের কাছে পরিচিত করতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। সূত্র মতে, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নিবন্ধিত ১০টিসহ ১১টি ধর্মভিত্তিক দল।
এর মধ্যে রয়েছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, অধ্যক্ষ মাওলানা ইছহাকের খেলাফত মজলিস, মরহুম হাফেজ্জী হুজুরের ছেলে মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, মরহুম মাওলানা মুফতি ফজলুল হক আমিনীর গড়া দল ইসলামী ঐক্যজোট। মাওলানা আব্দুল মোমিনের নেতৃত্বাধীন সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, আব্দুল লতিফ নেজামীর নেজামে ইসলাম পার্টি। জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। এদের মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক চারটি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে আছে একটি দল। নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের দলগুলো জোটগতভাবে নির্বাচন করার সম্ভাবনা কম। তাই দলগুলো নিজ নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়ার কারণে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ না থাকলেও পৌরসভার মতো ইউনিয়নেও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের সূত্রগুলো জানায়, বিগত নির্বাচনগুলোতে একক প্রার্থী দিয়ে তারা কিছু কিছু জায়গায় বিজয় ছিনিয়ে এনেছে, সর্বোপরি দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল ধরে রাখতে পেরেছে। ২০১৪ সালে সারা দেশে উপজেলা নির্বাচন-২০১৫ সালের শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচনে বেশ কিছু জামায়াত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াত মনে করছে এককভাবে নির্বাচন করলে তাদের ফল ভালো আসবে। অন্যান্য ইসলামী দলগুলো মনে করছে জোটগত নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত হয়ও তাহলে প্রার্থিতা দেওয়ার ক্ষেত্রে শরিকদের মধ্যে সমন্বয় করা হবে। ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার এক সদস্য কালের কণ্ঠকে জানান, বিগত পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়নেও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। এ ক্ষেত্রে জামায়াত প্রভাবিত এলাকা ছাড়াও বেশির ভাগ ইউনিয়নেই দলের প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগের মেয়াদের নির্বাচনের চেয়ে এবার প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বাড়বে। তিনি বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচনের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল জলিল জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। ব্যাপকসংখ্যক ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। জোটের আরেক শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, তাঁদের দল ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশ নেবে। কোনো জোটে না থাকলেও এককভাবে দেশের সব ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে চরমোনাইয়ের পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলের ঢাকা মহানগরীর সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে কারচুপি, ভোট ডাকাতিসহ নানা অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকে দলের দাওয়াতি কার্যক্রমের জন্য সহায়ক হিসেবে দেখছেন নেতারা। এ জন্য সব ইউনিয়নেই প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দল ঘোষিত চলমান দাওয়াতি মাসকে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সম্প্রতি বিএনপি জোট থেকে বের হয়ে যাওয়া দল ইসলামী ঐক্যজোট ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলটির ঢাকা কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য এলাকার প্রার্থী তালিকা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্র থেকে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা জালালউদ্দিন বলেন, ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে প্রার্থী তালিকা চেয়ে মাসখানেক আগে সারা দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মহাজোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা চাই এ নির্বাচন জোটগতভাবে হোক। তবে সেটি না হলে আমরা দলীয়ভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেব। দুই শতাধিক ইউনিয়নে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চালাচ্ছে বলে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হাকিম জানিয়েছেন। এ ছাড়া নিবন্ধিত দল জাকের পার্টি এবং ইসলামিক ফ্রন্টও বেশ কিছু প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।--- রিপোর্টার আলোক চিএ সাকিব আহমদ মুছা
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে জয়লাভের পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান শক্ত করা ও নিজ দলের প্রতীককে মানুষের কাছে পরিচিত করতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। সূত্র মতে, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নিবন্ধিত ১০টিসহ ১১টি ধর্মভিত্তিক দল।
এর মধ্যে রয়েছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, অধ্যক্ষ মাওলানা ইছহাকের খেলাফত মজলিস, মরহুম হাফেজ্জী হুজুরের ছেলে মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, মরহুম মাওলানা মুফতি ফজলুল হক আমিনীর গড়া দল ইসলামী ঐক্যজোট। মাওলানা আব্দুল মোমিনের নেতৃত্বাধীন সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, আব্দুল লতিফ নেজামীর নেজামে ইসলাম পার্টি। জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। এদের মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক চারটি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে আছে একটি দল। নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের দলগুলো জোটগতভাবে নির্বাচন করার সম্ভাবনা কম। তাই দলগুলো নিজ নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়ার কারণে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ না থাকলেও পৌরসভার মতো ইউনিয়নেও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের সূত্রগুলো জানায়, বিগত নির্বাচনগুলোতে একক প্রার্থী দিয়ে তারা কিছু কিছু জায়গায় বিজয় ছিনিয়ে এনেছে, সর্বোপরি দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল ধরে রাখতে পেরেছে। ২০১৪ সালে সারা দেশে উপজেলা নির্বাচন-২০১৫ সালের শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচনে বেশ কিছু জামায়াত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াত মনে করছে এককভাবে নির্বাচন করলে তাদের ফল ভালো আসবে। অন্যান্য ইসলামী দলগুলো মনে করছে জোটগত নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত হয়ও তাহলে প্রার্থিতা দেওয়ার ক্ষেত্রে শরিকদের মধ্যে সমন্বয় করা হবে। ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার এক সদস্য কালের কণ্ঠকে জানান, বিগত পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়নেও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। এ ক্ষেত্রে জামায়াত প্রভাবিত এলাকা ছাড়াও বেশির ভাগ ইউনিয়নেই দলের প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগের মেয়াদের নির্বাচনের চেয়ে এবার প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বাড়বে। তিনি বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচনের ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল জলিল জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। ব্যাপকসংখ্যক ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। জোটের আরেক শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, তাঁদের দল ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশ নেবে। কোনো জোটে না থাকলেও এককভাবে দেশের সব ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে চরমোনাইয়ের পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলের ঢাকা মহানগরীর সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে কারচুপি, ভোট ডাকাতিসহ নানা অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকে দলের দাওয়াতি কার্যক্রমের জন্য সহায়ক হিসেবে দেখছেন নেতারা। এ জন্য সব ইউনিয়নেই প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দল ঘোষিত চলমান দাওয়াতি মাসকে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সম্প্রতি বিএনপি জোট থেকে বের হয়ে যাওয়া দল ইসলামী ঐক্যজোট ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলটির ঢাকা কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য এলাকার প্রার্থী তালিকা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্র থেকে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা জালালউদ্দিন বলেন, ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে প্রার্থী তালিকা চেয়ে মাসখানেক আগে সারা দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মহাজোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা চাই এ নির্বাচন জোটগতভাবে হোক। তবে সেটি না হলে আমরা দলীয়ভাবে এই নির্বাচনে অংশ নেব। দুই শতাধিক ইউনিয়নে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চালাচ্ছে বলে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হাকিম জানিয়েছেন। এ ছাড়া নিবন্ধিত দল জাকের পার্টি এবং ইসলামিক ফ্রন্টও বেশ কিছু প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।--- রিপোর্টার আলোক চিএ সাকিব আহমদ মুছা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন