কওমী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীদের সোচ্চার হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'ব্যাঙের ছাতার মতো এলাকায় এলাকায় কওমী মাদ্রাসা গড়ে উঠছে। এসব কওমী মাদ্রাসার অনেকগুলোতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কর্মীদের সোচ্চার হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। আর জঙ্গিদের পেছনে মদদ ও ইন্দন জোগাচ্ছে আমাদের একটি বড় দল।'
বৃহস্পতিবার নগরীর মুসলিম হল মিলনায়তনে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি আয়োজিত আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলে খাদ্যমন্ত্রী।
কমিটির মহানগর সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিচারপতি মো. আবদুস সালাম, সংগঠনের নেপাল কমিটির সভাপতি নেপালের সাবেক সংসদ সদস্য মো. নজিব মিঞ্চা, সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী, অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা এসএম মুর্তজা হোসাইন, এসএম আজিজ প্রমুখ।
সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখা ভুলে গিয়েছিল। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি পদ্মা সেতু হবে। প্রধানমন্ত্রী সেই অবাস্তবকেই বাস্তবে পরিণত করছেন। এর আগে বাংলাদেশে নারী প্রধানমন্ত্রী থাকলেও নারীরা প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার পাননি। নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি-ভাতাসহ সেই সুযোগ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।'
সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, 'মানবাধিকার মানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্টানের অধিকার নয়। মানবাধিকার হচ্ছে মানুষের অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করতে সকলকে একযুগে কাজ করতে হবে।'
ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বিকাশের মানবাধিকারও নিশ্চিত করতে হবে বলেও এ সময় তিনি উল্লেখ করেন। রিপোর্টার আলোক চিএ সাকিব আহমদ মুছা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন