বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১৬

নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের বিশ্ব কিডনি দিবস পালন

বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের উদ্যেগে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গন থেকে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও শিশুদের কিডনি রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শিশুদের কিডনি রোগ : শুরুতেই প্রতিরোধ’।
বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের কিডনি বিভাগের উদ্যেগে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯ম তলায় সেমিনার হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজল মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও প্রফেসর মাশুকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজল মিয়া বলেন, ‘সমাজের শান্তি বিরাজ করে জনগণের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর। তাই কিডনি সচেতনতার পাশাপাশি মানসিক সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, বিশ্ব কিডনি দিবসে শুধু র‌্যালি, সভা, সেমিনার করলেই হবে না, বরং কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য নিশ্চিত করতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একটু সচেতন হলেই কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়। কারণ শতকরা ৬৩ শতাংশ েেত্রই কিডনি বিকল রোগের প্রতিরোধ সম্ভব।
আলোচনা সভা শেষে দক্ষিণ সুরমার ধরাধর পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজী বিভাগের প্রধান ডা. মো. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে শিশুদের কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সচেতনা মূলক সভায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিবাকরা অংশগ্রহণ করেন। শিশুদের কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, কিডনি রোগ জীবননাশ করে। তাই প্রতিরোধই বাঁচার উপায়। সচেতন থাকলেই সুস্থ কিডনি নিশ্চিত করা সম্ভব। শিশুরা অনেক সময় তাদের শরীরের প্রসাব কিংবা যে কোন ধরণে অসুস্থা বোধ করলে অভিবাকদের অবহিত করা ও ডাক্তাররের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশসহ বেশিরভাগ দেশেই ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণগুলো হচ্ছে, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, নেফ্রাইটিস, বংশগত কারণ, কিডনির পাথরসহ অন্যান্য রোগ। এছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধসহ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন কিডনি বিকলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডা. মো. সাদিক, ডা. মিজানুর রহমান, ডা. শান্ত, ডা. আব্দুল করিম, ডা.নিলয়, ডা.সানজিদা ও নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল লি. এর সেক্রেটারি মো. আব্দুল ওয়াহিদ ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। র‌্যালিটি গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি সিলেট থেকে সাকিব আহমদ মুছা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন