বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

কেউ দু:খ বুঝল না তিন তিন বার আত্নহত্যা করেও মরতে পারিনি

কেউ দু: বুঝল না তিন তিন বার আত্নহত্যা করেও মরতে পারিনি


প্যারিস, ফ্রান্স থেকে;
লেখক: মো: সাকিব আহমদ মুছা:

ঘটনা একদম সত্য, মুখে প্রকাশ করার মতো ভাষা জানা নেই আমার, তাই একটু লিখতে পারি বলে লিখার মাধ্যমে এটু হলেও নিজের ঘটে যাওয়া ঘটনা দু: সহিতে না পেরে ঘটনার অবস্থা প্রকাশ করলাম। একজন মানুষ একা আর কতো বাস্তবতার সাথে লড়বে। নতুন জীবন শুরু হবার পর থেকেই যখন মুক্তচিন্তার ধারা অনুযায়ী লিখনীয় কাজে মানব সেবায় নিজেকে মুক্তচিন্তার লেখা শুরু করতেই চল্লাম টিক তখন ২০১১ সাল আমার জীবনে নেমে আসে অন্ধকারের ছায়ার মতো জেল-বন্ধি ভিন্ন রকমের মানুষি অমানবিক নির্যাতন। তখন আমি আজকের চাইতে অনেক ছোট আমার কিছুই করার ছিলনা। কারন আমি ছিলাম আমার বাবা-মার পরিবারে সব চাইতে বড় সন্তান। এই পরিবারে আছেন শুধু আমার বয়স্ক বাবা আর মা। আমার উপর যখন একের পর এক মিথ্যা মামলা, জেল বন্দি অমানবিক মানুষি নির্যাতন এমনকি তখন আমার বাড়ি গ্রামের লোকজন সহ আশপাশের ইসলাম ধর্মীয় মৌলবাধির মানুষজন আমাকে ইসলাম বিরুধী লেখনীয় অভিযোগ এনে নাস্তিক বিধর্মী মর্মে উল্লেখ করে, তখন থেকে আমি বেশ কিছু দিন-রাত এক ঘরে একাই বন্ধি জীবন যাপন করছিলাম, আশপাশের লোকজন যখন চিৎকার করে বলতো পুলিশ আসছে তখন আমি জানালার ফাখদিয়ে উকি দিয়ে চাইতাম আর ভয়ে আতংকে কাঁদতে থাকতাম। আমার মা আমাকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে ব্যার্ত হয়ে বার বার অসহায় হয়ে পাগলের মতো কান্নায় ভেঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়তেন। আমাকে গ্রেফতার করতে যখন পুলিশ বাহিনী আমার পুরো বাড়ী ঘিরে ফেলেন তখন পুলিশের হানা থেকে পালিয়ে যেতে আমি ব্যার্ত হলে এক পর্যায় পুলিশ বাহিনী আমাকে গ্রেফতার করেন। তখন আমার দেখামতে পুলিশি বাহিনীর আতংকে আমার বাবা বাড়ির পিছন দিক দিয়ে দৌড়ে পালান, কিন্তু আমার মা সেটা না করে আমি পুলিশি গ্রেফতারের হাতে থেকে দেখলাম আমার মা আমাকে বাঁচাতে ব্যার্ত হয়ে আকূলাবদ্ধ হয়ে বারবার কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আমার এই দু:খের দিনে কেউ একবারও পাশে দাড়ায়নি আমার বাবা- মা ছাড়া। আমি মো: সাকিব আহমদ মুছা তখন বোকার মতো নিজেই নিজের অবস্থা ধর্যের সাথে মোকাবেলা করতে লাগলাম। শেষ মুহুর্তে প্রানে বাঁচতে ২৫ জুলাই, ২০১৫তে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে আমি বাধ্য হই। এমনকি ২৫ আগষ্ট, ২০১৬তে ফ্রান্সে-কে আমার আশ্রয়ে এর প্রধান মানবাধিকারের নিরাপত্তার দেশ হিসাবে উপযুক্ত বসবাসের স্থান হিসাবে নির্ধারন করি। মানুষ যখন তার বুক বাঁধা কষ্ট প্রকাশ করতে না পারে, তখন তার কি করা উচিত? বাংলাদেশ সহ ফ্রন্সের মানুষ জন আমার দুঁ: বুঝতে নারাজ। ফ্রান্স আমার দু: বুঝত কারন ফ্রান্স মানবাধিকারের দেশ। কিন্তু কারন হলো বেশকিছু দিন থেকে ফ্রান্সে অনেক লোক মিত্য নির্যাতিত দেখিয়ে আশ্রনিয়ে ফ্রান্সের বিচারকগণদের মনের মধ্যে এটা একটা ফিলিমের মতো হয়ে গেছে। তাই সত্যিকারের নির্যাতিতরাও এখন ফ্রান্সের আশ্রয় থেকে বঞ্চিত। তবে আমার সব সময় এখন থেকে একটাই ধারনা আমি এখন পৃথিবীর শেষ মায়া ত্যাগ করে সব কিছুর মোকাবেলাই আত্যহত্যা মাধ্যমে ঘটাবো। এমনকি আমি তিন তিন বার আত্যহত্যা করেও মরতে পারিনী।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন