বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০১৬

বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদের স্বরূপ ও সম্ভাব্য করণীয়

২০১৩ সাল থেকে ইসলামী জঙ্গিরা ধারাবাহিকভাবে নাস্তিক-সংখ্যালঘু প্রগতিশীলদের কুপিয়ে হত্যা করলো, সরকার তখন এসব নৃশংস ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে আখ্যায়িত করে; সরকার স্বীকারই করলো না যে, বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদ ভয়ংকরভাবে বিস্তার করেছে।

সম্পাদক নোটব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছা' নিজওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করা হলো। 


গুলশানে ইসলামি জঙ্গিদের হামলায় ২০ জন বিদেশী ০২ জন পুলিশ নৃশংসভাবে মারা গেছে, আহত হয়েছে অসংখ্য।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি হয়তো ঘটতো না, যদি ২০১৩ সাল হতে ইসলামী জঙ্গিদের হাতে ধারাবাহিকভাবে নৃশংসতম উপায়ে বগ্লার লেখক খুনের ঘটনাগুলোকে সরকার বিচ্ছিন্ন ঘটনা আখ্যা না দিয়ে বরং জঙ্গিবাদ দমনে জরুরি ব্যবস্থা নিতো।
সে সময় মুক্তমনা প্রগতিশীলরা বারবার সরকারকে বলেছিল, ইসলামী জঙ্গিদের হাতে প্রগতিশীল লেখক হত্যাকাণ্ড একসময় মহীরূপ নেবে, দ্রুত জঙ্গিদের টার্গেটে পরিণত হবে বাংলাদেশে বসবাসরত সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু সরকার সে সময় এগুলোকে শুধু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদের উপস্থিতি প্রকারান্তরে অস্বীকার করেছিল তা নয়, উপরন্তু সরকারের মন্ত্রী প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সহিংসতার জন্য নিরীহ ভিক্টিমদের তাদের লেখালেখি আচরণের জন্য দায়ী করেছিল।
ইসলামী জঙ্গিবাদ বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য বিষফোঁড়া।
এই ফোঁড়া যখন ছোট ছিল, তখন সরকার এর উৎপাটনের দায় এড়িয়ে গেছে বরং ভিক্টিমদের দোষারপ করেছে। বর্তমানে এই ফোঁড়া দেশের সবকিছুকে টার্গেট করছে; প্রতিদিনই ইসলামী জঙ্গিরা বাংলাদেশের কোথাও না কোথাও তাদের নৃশংস অভিযান পরিচালনা করছে।

এখনও যদি সরকার ইসলামী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে না যায়, তবে বাংলাদেশের পুরোপুরিভাবে পাকিস্তান-অাফগানিস্তান-নাইজেরিয়ায় পরিণত হওয়া অতিস্বল্প সময়ের ব্যাপার।

প্রথমে আলোকপাত করা যেতে পারে, বাংলাদেশের এই ইসলামী জঙ্গিগোষ্টী কারা?

বাংলাদেশের জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) আনসার আল ইসলাম আন্তর্জাতিকভাবে ইসলামিক স্টেট (আইএস) আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন