রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আমি নিজেইতো একজন প্রবাসী

আমি নিজেইতো একজন প্রবাসী


লেখক: মো: সাকিব আহমদ মুছা

প্রবাস জীবন নিয়ে কি আর বলবো ভাই। কারন আমি নিজেইতো একজন প্রবাসী।

তবে আমার প্রবাস জীবনটা সবার চাইতে একদম আলাদা। ২০১১ সাল থেকে বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পত্র-পত্রিকা, ব্লগ ও ফেইসবুক সহ বেশ কিছু সামাজিক সাইডে আমার নিজের হাতের ডিজিটা লেখা পোষ্ট হতো।

বর্ষায় নদীর পানির স্রোত যেমন তার নিজের গতীতে চলে আমার লেখাও তেমনি মানুষের অধিকার আদায়ে সব রকমের সরকার দল ও বিরুধী দল সহ অন্যা দেশ বিরুধী কার্যকলাপে যে বা যারা লিপ্ত ছিল তাদের দাঙ্গা হাঙ্গামার ছবি ও লেখা-লেখি সহ  বিভিন্ন সামাজিক বেশ কিছু সাইডে নিয়মিত আমার মাধ্যমে প্রকাশ পাইতো।

২৬ নভেম্বর ২০১২ থেকে আমার জীবনে নেমে আশে রাতের আধারে বাতি না থাকলে যেমন অন্ধকার আমার অবস্থা টিক তেমনি। তখন কার সময় ছিলো বিএনপি জামায়াত ও আওয়া মীলীগের দেশের ক্ষমতার মসনদে বসার মুরগের লড়াই।

দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষজনের জনমনে জামায়াত বিএনপি আওয়া মীলীগের ক্যাডার বাহিনীর আতংকে সর্ব সময় অস্তিরতা বিরাজ করছিলো। রাত পুহালে শুনা যেত পুলিশ ও বিরুধী দলের মধ্যে মিছিলকে কেন্দ্র করে গুলাগুলি এমনকি রাস্তায় পরে থাকতো একের পর এক লাশ আর কেউ বা গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতো শত শত মানুষ। স্থানীয় জনতা দেখে আশপাশের ক্লিনিক গুলিতে গুলি বিদ্ধ আহত ব্যাক্তিদের সু-চিৎসার জন্য ডাক্তার গনের স্মরনা পন্ন করতেন।

এসব বিষয়ের কাঙ্খিত অনাকাঙ্খিত ঘটনা গুলি আমি মানবাধিকারের স্বার্থে বিভিন্ন ব্লগ পত্র-পত্রিকা ও ফেইসবুক সহ বেশ কিছু সামাজিক সাইডে প্রকাশ করতে নিজেকে প্রতিনিয়ত ব্যাস্ত রাখতাম। তারপর থেকে সরকার দলের ও বিরোধী দলের উপর থেকে নেমে আশে আমার উপর একর পর এক জেল, জুলুম, নির্যাতন।

২৬ নভেম্বর ২০১২ সালের পর থেকে আমি তিন তিন বার সরকার দল ও বিরুধী  দলের দাঙ্গা হাঙ্গামার ছবি প্রকাশ করলে ও বেশ কিছু লিখনীয় অভিযোগে আমাকে গ্রেফতার দেখিয়ে  জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। পুলিশি নির্যাতন থেকে দমন পিড়ন ও আমাকে জেল থেকে মুক্তি দিতে ব্যায় হতো আমার বাবার প্রচুর পরিমানের বড় অংকের টাকা।

পরে ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০১৫তে সিলেট বিএনপি জামায়াত ও আওয়া মীলীগ পাল্টা পাল্টি সংঘর্ষের  মানবতাবিরুধী বেশ কিছু ছবি ও লেখা সোসালমিডিয়ার জনপ্রিয় সাইড ফেইসবুক সহ ব্লগে আমার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। পরে ৩০ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং তারিখের একটি মামলায় আমাকে অভিযুক্ত করে আসামী করা হয়।

জেল ও নির্যাতনের ভয়ে ২৫ জুলাই ২০১৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে আমি বাধ্য হই। এমনকি আমি বাংলাদেশ ত্যাগ করারা ১৫দিন আগে  আত্যহত্যা করেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলাম। 

প্রবাস জীবন : সব ছেড়ে বাঁচার আশায় প্রবাসে এসেও আদো কোন লাভ নেই। কারন বেঁচে থাকতে হলে লাগে অনেক কিছুর প্রয়োজন। যেমন কাজ কাজের কর্মসংস্থান থাকার জন্য চাই খোলামেলা আবহাওয়াতে বসবাসের বাসস্থান। কিন্তু নিজের দেশের মতো এখানে নাই তেমন একটা স্বাধীনতা।

আজ একবছর আমার প্রবাস জীবন পনের লক্ষ টাকা ব্যায়ের মাধ্যমে ইউরোপের ফ্রান্সে আমার বসবাসের বাসস্থান। কিন্তু না আমি খুশিনা আজ একবছর ধরে ইউরোপে থেকেও নাই কোন আমার ও আমার মতো আরোও অন্যান্যদের কাজ ও কাজের কোন কর্মসংস্থান। মাস শেষে মালিকের ঘর বাড়া ১৪০ ইউরো ও খাবারের বিল ১০০ ইউরো তাছাড়া চিকিৎসা কাপড় চোপড় বা অন্যান্য বিষয় বাদ দিয়ে দিলাম। এই সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে আমি আজ একরকমের মানষিক রোগী দৈনিক রাত ১০০ পাওয়ারের ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়া না ছাড়া আমার চোখে কোন ঘুম আসেনি।

শুধু তাই নয় চলতি মাসের মাস খানিক আগে মনের দু:খ প্রকাশ করতে না পেরে আত্যহত্যা করতে ক্যারলিন ও বেশ কিছু ঘুমের ট্যাবলেট খাই। আনুমানিক সপ্তাখানেক হসপিটালে অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম ভাগ্যক্রমে ফ্রান্স ডাক্তারদের সহযোগীতায় আবার বেঁচে গেলাম। একবার ভাবি দেশে চলে আসবো কিন্তু আসতে পারিনা আমার উপরে আছে দেশে বেশ কিছু মামলা।


আমার পরামর্শ হলো প্রবাসে যদি কেউ টাকা ইনকামের জন্য আসতে চান তাহলে দালালের খপ্পড়ে না পড়ে নিজে কম খরচের মাধ্যমে আসার চেষ্টা করবেন। আর তার চাইতে ভাল হবে যে, টাকা দিয়ে আপনি প্রবাসে আসতে চান সেই টাকা দিয়ে প্রবাসে না এসে নিজের দেশে কিছু করার চেষ্টা করবেন ও করলে প্রবাসের চাইতে ভালো হবে।  আশাকরী আমার বিষয়গুলি মনযোগ সহকারে পড়বেন ও বুঝবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন