শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ভিন্ন কায়দায় ভাষা-সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চলছে : খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এ দেশের ওপর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে চাচ্ছে। ভিন্ন কায়দায় দেশের ভাষা-সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চলছে বলে দাবি করেছেন খালেদা জিয়া।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শনিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে পাঠানো বাণীতে এ
কথা বলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, ভিন্ন কায়দায় আমাদের ভাষা-সংস্কৃতির ওপর বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে মহলবিশেষের সহযোগিতার জন্য। যারা দেশকে তাঁবেদার রাখতে চান, তারাই চক্রান্তজাল বুনে আধিপত্যের থাবাকে বিস্তার লাভ করতে সুযোগ দিয়ে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। যাতে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারি। আর এই জন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারও একদলীয় দুঃশাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। সুতরাং আজও একুশের অম্লান চেতনা সকল ষড়যন্ত্রকারী আধিপত্যবাদী শক্তিকে রুখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।
খালেদা জিয়া বলেন, এই দুঃসময়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রেরণা জোগাবে বায়ান্নর মহান একুশের শহীদদের আত্মদান। আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে। মহান ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
ভাষাশহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও ভাষাসৈনিকদের অভিনন্দন জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমে এসে পুলিশের গুলিতে আত্মদান করে। তাদের এই মহিমান্বিত আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান। বায়ান্ন সালের একুশের পথ ধরেই এ দেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়েছে, অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন