রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

৯ জন মিলেই হত্যা করে বাহুবলের ৪ শিশুকে

হবিগঞ্জের বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ৯ জন। হত্যার পরে তারা দুদিন ধরে লাশগুলো লুকিয়ে রাখে। এরপর মাটিচাপা দেয়।

বুধবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউছার আলমের খাস কামরায় পুলিশ রিমান্ডে থাকা আসামি হাবিবুর রহমান আরজু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

১৬৪ ধারায় রেকর্ড করা জবানবন্দিতে আসামি আরজু এসব তথ্য দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম।

এর আগে বেলা দুটায় আরজুকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়। গত সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ড কোথায় সংঘটিত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে দুই এক দিনের মধ্যেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। শহীদুল বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি শিশুদের হত্যার পর দু’দিন মৃতদেহগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে ৯ জন অংশ গ্রহণ করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আরজু। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার অন্য আসামি রুবেল মিয়া ও ২১ ফেব্রুয়ারি জুয়েল মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছিলেন। চার শিশু হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আব্দুল আলী ১০ দিনের ও বশির মিয়া ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আরো ৫ দিন বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত দলের প্রধান সমন্বয়কারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রাম থেকে ৪ শিশু নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পাশে একটি মাঠ থেকে মাটিচাপা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রিপোর্টার তথ্য সংগহকারী আলোক চিএ সাকিব আহমদ মুছা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন