বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬

ইসলামের সালাফী বা ওয়াহাবী সুন্নী ধারার কোন গোষ্ঠী এই হামলাগুলি পরিচালনা করেছে

সম্পাদক নোট: ব্লগার সাংবাদিক সাকিব আহমদ মুছার ‘ইসলামের সালাফী বা ওয়াহাবী সুন্নী ধারার কোন গোষ্ঠী এই হামলাগুলি পরিচালনা করেছে’ প্রবন্ধটি তার নিজ ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করা হলো।

ইসলাম চিন্তার ভিতরকার দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে বিভিন্ন পীর ও ধর্মীয় নেতা ও শিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলা। অনুমান করা যেতে পারে যে, ইসলামের সালাফী বা ওয়াহাবী সুন্নী ধারার কোন গোষ্ঠী এই হামলাগুলি পরিচালনা করেছে।

বাংলাদেশে এখন হত্যা, সন্ত্রাস ও হানাহানি খুব স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সেগুলিকে আমাদের আলোচনায় না নিয়ে সাম্প্রতিক যেসব হামলা ও খুনকে জিহাদী বা ইসলামী হামলা ও খুন হিসাবে মনে করার কারণ আছে সেগুলি নিয়ে কিছু আলোচনা করলে হয়ত হামলা-খুনের এক অথবা একাধিক প্যাটার্ন খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আমরা কী দেখতে পাই? মোটামুটি চারটি ধারায় হামলাগুলিকে ফেলা যায়। একটা হচ্ছে মুক্তচিন্তার লেখক, ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের উপর হামলা। সর্বশেষে অভিজিতের প্রকাশক দীপন হত্যা ও টুটুলের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার মাধ্যমে মুক্তচিন্তার গ্রন্থ প্রকাশকদেরকেও হত্যার লক্ষ্যবস্তু করা হল। এই ধারার মধ্যে আমরা ফেলতে পারি ধর্ম বিশ্বাসহীন বা মুক্তচিন্তার লেখক ও তাদের গ্রন্থ প্রকাশকদেরকে।

তৃতীয় ধারা হচ্ছে পুলিশ তথা রাষ্ট্রযন্ত্রকে লক্ষ্যবস্তু বা টার্গেট করে হামলা এবং হত্যা। গাবতলী ও সাভারের আশুলিয়া এই দুই জায়গায় কয়েক দিনের ব্যবধানে দুই জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

চতুর্থ ধারা হচ্ছে বিদেশীদের উপর হামলা। তাভেল্লা সিজার নামে একজন ইতালীয় নাগরিক ও কুনিও হোশি নামে একজন জাপানী নাগরিক এর মধ্যে নিহত হয়েছেন। অথচ দাবী করা হয়েছে যে জাপানী নাগরিক কুনিও হোশি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তারপরও তাকে হত্যা করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন