সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬

ব্লগারের সাথে ফেসবুক চ্যাটে কথা প্রসংগে

সাকিব আহমদ মুছা, প্যারিস (ফ্রান্স) থেকে :- মুক্তমনা লেখকদের চিন্তা দুরদর্শী । আজ যে সমস্যার সৃষ্টি হবে তা তারা ১০ বছর আগেই চিন্তা করে। এক মুক্তমনা ব্লগারের সাথে ফেসবুক চ্যাটে কথা প্রসংগে উঠে এসেছিল, হুমায়ুন আজাদ , অভিজিত রায় এরা সময়ের চেয়ে অনেক অগ্রসর এদের জন্ম আরো ৫০ বছর পরে হলে ঠিক হত।
মুক্তমনা যে বইটি শেয়ার করেছে সেটি ডাউনলোড করে পড়লে বিভ্রান্তি দূর হবে। বইয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমার অভিমত-
মানুষের জিনগত ত্রুটির কারনে মানুষ সমকামি ও হিজড়া হয়। এর জন্য যদি কাউকে দোষ দিতেই হয় তাহলে দেয়া উচিত পিতামাতা ও সৃষ্টিকর্তাকে । কারন তাদের কারনেই একটি শিশু সেই জিন ধারন করেছে।অবশ্য বিষয়টা প্রাকৃতিক তাই তাদেরও দোষ দেয়ার কিছু নেই।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সমকামীর দেখা মিলে কোথায় ? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে গেলে কেউ হয়ত দেশদ্রোহী বা নাস্তিক বলবেন। তবুও বলছি সবচেয়ে বেশি সমকামী আছে সেনাবাহিনী ও আবাসিক মাদ্রাসাগুলোতে। তাই বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যে নেই তা বলছি না, সেখানেও আছে।
সেনাবাহিনীতে নিয়োগের সময় issb নামে দুই বা চারদিনের আবাসিক পরীক্ষা দিতে হয়। সেখানে ভাইভাতে একজন প্রার্থী ব্লু ফ্লিম দেখে কিনা, মেয়েদের প্রতি আসক্তি আছে কি না, কাউকে চুমু খেয়েছে বা ইতিমধ্যে বিছানায় গেছে কিনা ইত্যাদি জিজ্ঞেস করা হয়। পরীক্ষকদের মাঝে মনস্তাত্বিকরাও থাকেন, তারা ঠিকই ধরে ফেলেন প্রার্থী সমকামি কি না।
ধরা পড়ার পর কি করে ? ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠায়? চাপাতি দিয়ে হত্যা করে? কখনোই না। তাকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়। সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর কেউ যেন সমকামিতার দিকে না যায় সেজন্য সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে সিনেমা হল গুলোতে ইংরেজি ব্লু ফ্লিম চালানো হয়।
কিন্তু এত মোটিভেশন ও পরীক্ষার মাঝেও কেউ কেউ ধরা পড়ে না, সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর তাদের মাঝে সুপ্ত সেই জিনের বিকাশ ঘটে।
এতো গেল সেনাবাহিনীতে । ঠিক একই ব্যাপার আমাদের সমাজে ও আছে। সবকিছু গোপন করতে অভ্যস্ততার কারনে আমরা হয়ত জানতে পারি না। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ার কারনে আজ তারাও নিজেরাই নিজেদের মাঝে সংগঠিত। এ কারনে কি তাদের হত্যা করতে হবে?
তাহলে সেনাবাহিনীর issb পরীক্ষার সময়ই কিছু কিছু হত্যা করা উচিত। এতে বিষয়টা আইনগত বৈধতাও পাবে , সমাজে কিছু সমকামীও কমবে। একটা ভিডিওতে দেখলাম তারা হত্যা করে দৌড়ে পালাচ্ছে। বেহেস্তি সৈনিক হত্যা করে দৌড়ে পালাও কেন, দাঁড়িয়ে থাক আর স্লোগান দাও। সেই দৌড়ের গন্তব্য কি বেহেস্ত?
বেহেস্তে যেতে চাও যেতে দেরি কর কেন?
কোন অজুহাতেই এ ধরনের হত্যাকান্ড গ্রহনযোগ্য নয়।

৩টি মন্তব্য:

  1. বইয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমার অভিমত-
    মানুষের জিনগত ত্রুটির কারনে মানুষ সমকামি ও হিজড়া হয়। এর জন্য যদি কাউকে দোষ দিতেই হয় তাহলে দেয়া উচিত পিতামাতা ও সৃষ্টিকর্তাকে ।

    উত্তরমুছুন
  2. দুটো জিনিস বলা দরকার। আমার মনে হয়না এই বইটিতে বলা হয়েছে যে এটি জিনগত ‘ত্রুটি’। এটা একধরণের ভেরিয়েশন হতে পারে, কিন্তু ‘ত্রুটি’ বলা ঠিক হবেনা কোন মতেই। আর এই বইটিতে কোথাও ‘সৃষ্টিকর্তা’র কথাও বলা হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না।

    উত্তরমুছুন
  3. সেই ভেরিয়েশনকে ‘ত্রুটি’ বলেই তো সমকামী ও হিজড়াদের অপরাধী মনে করে সমাজ থেকে দুরে রাখি, খুন করি। ভেরিয়েশন স্বীকার করলে তো এই দৃষ্টি ভংগি থাকতো না।
    স্রষ্টা র ইশারা ছাড়া যদি গাছের একটা পাতাও নড়ে না বলে দাবী করি,তাহলে এই ভেরিয়েশনের জন্য ও কেন তাকেই দায়ী করব না?

    উত্তরমুছুন