রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

আরো একটি গণমৃত্যু! নৌকাডুবিতে ৫০০ প্রাণহানি

ভূমধ্যসাগরে শরণার্থিদের একটি নৌকা ডুবে ৫ শতাধিক লোকের প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে। বেঁচে যাওয়া ৪১ জন শরণার্থী উপকূলে ফিরে এসে বিবিসি’কে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কীভাবে তারা উপকূলে ফিরলেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর চেষ্টার সময় মিশরীয় উপকূলে নৌকাটি ডুবে যায়। শরণার্থীদের একটি নৌকা থেকে অন্যটিতে সরিয়ে নেয়ার সময় এটি ডুবে যায় বলে তারা বিবিসি জানিয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় ৫ শতাধিক শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছে বলে বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা জানিয়েছে।
তবে ভূমধ্যসাগরের এই নতুন ট্রাজেডি সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা। তারা মৃতের সংখ্যা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে। যদিও ইতালির প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন বলে এবিসি সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতে মিশর উপকূলে ওই দুর্ঘটনার পর গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কালামাতা থেকে ৪১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও মিশরের বাসিন্দা। তারা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইটালিতে যাচ্ছিলেন। ডুবে যাওয়া নৌকার বেশির ভাগ যাত্রীই ছিলেন পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা।
বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা বিবিসি’কে জানিয়েছে, ইটালি যাবার জন্যে তারা কমপক্ষে ২৪০ জন মিলে লিবিয়ার বন্দর শহর তবরুক থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। ভূমধ্যসাগরে এসে তাদের আরেকটি বড় নৌযানে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই নৌকাটিতে আগে থেকেই ৩শয়ের বেশি যাত্রী বোঝাই ছিল। তাদের স্থানন্তরিত করার সময়ই  দূর্ঘটনাটি ঘটে।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে কয়েক দশক ধরেই এভাবে অভিবাসীরা বিপজ্জনকভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে করে অনেকে মারাও যাচ্ছে। ২০১৫ সালের এই মাসেই লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবে মারা গিয়েছিল ৮শ  অভিবাসন প্রত্যাশী। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্যমতে, চলতি বছর এ পর্যন্ত এক লাখ ৭৭ হাজার শরণার্থী ঝুঁকিপূর্ণভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। বিপজ্জনক পথে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে ৭২৩ জন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন