সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

সৌদি পুরুষদের দক্ষিণ হস্ত বাঙালি মেয়েদের মালিক হয়ে গেছে

মক্কা-মদিনার দেশে গৃহকর্মে নিযুক্ত মেয়েরা বোরকা পরেনা? তারা কি জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট পরে ঘুরে বেড়ায়? না কি তারা বিকিনি পরে রাস্তায় চলে? তাহলে তারা ধর্ষিত হয় কেন?
বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমান জানে যে ধর্ষনের জন্য মেয়েদের পোশাকই দায়ী। মেয়েদের আধুনিকতা ও উগ্রতার কারণেই তারা ধর্ষিত হচ্ছে। কারণ মেয়েরা তেতুলের মত। পুরুষতো তাকে চেখে দেখবেই। কিন্তু প্রথম আলোতে খবর ছাপা হয়েছে সৌদি আরবে গৃহকর্মে নিযুক্ত মেয়েরা নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নবী মোহাম্মদের দেশে দোররা মারার আইন চালু থাকা সত্তেও বাঙালি মেয়েদের কেন ধষর্ণ করা হচ্ছে? না কি ইসলামের বিধান মেনেই তারা ধর্ষন করে?
১৯৭১ সালে বাঙালি মেয়েদের ধর্ষণ করাকে জায়েজ করা হয়েছিল ইসলাম দিয়ে। ইসলাম রক্ষার জন্য ধর্ষন করা হত। জামাতে ইসলামী ও নেজামে ইসলামীর দেয়া ফতোয়া অনুযায়ী বাঙালি মেয়েরা ছিল ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সেনাদের জন্য গণিমতের মাল। গণিমতের মাল যেভাবে ইচ্ছা ভোগ করা যায় -এটাই ইসলামের বিধান। ইসলামে যুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত নারীদের বলা হয় গণিমতের মাল। গণিমতের মালরাও দাসী। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ধর্ষনের জন্য হাজার হাজার নারীকে বন্দী করে রেখেছে। তাদের কোন নীতিমালার আলোকে ধর্ষণ করা হবে সে সম্পর্কে শরিয়ত সন্মত বিধানও জারী করেছে। কিন্তু সৌদি আরবে যেসব বাঙালি মেয়ে কাজ করতে যায় তারা গণিমতের মাল নয়। তারা অর্থের বিনিময়ে নিযুক্ত দাসী। কোরানের বিধান অনুযায়ী দাসীদের ধর্ষন করা জায়েজ। এটাই ইসলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন