মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময়

লেখক সাকিব আহমদ মুছা:- নিজের ওয়ালে বন্ধুদের উদ্দেশ্য করে লিখেছিলা আমি ছেলেটা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময়,
"আমাকে যদি এই আন্দোলনে জামায়াত শিবির মৌবাদীদের ধারা হত্যা করা হয় তাইলে কেউ আমার জন্য কান্না কাটি হায় হায় করবি না, লাশ নিয়ে মিছিল করবি না। আমার মরনের পর যদি আমার লাশের পাশে বসে কান্না কাটি করিস তাইলে থাপরাইয়া তোর দাঁত ফালাইয়া দিবো।

যদি তোমরা পারিস তাইলে দেশের শত্রু মানবতার শত্রু জামাত-শিবিরের ও মৌলবাদীর রক্ত দিয়া আমার শেষ গোসল করাইস নতুবা এইসব আন্দোলন ফান্দোলন রাইখা ঘরে বইসা চা পান করিস। আমার মরার পর তদের কান্নাকাটি দিয়া আমি কি করুম! জামাত শিবির ও মৌলবাদী বাইচ্চা থাকলে এই দেশ বাচবে না আর দেশের মানুষও বাচবে না। তাই হুঁশিয়ার! সাবধান!!!"
জামায়াত শিবির ও মৌলবাদীর সংগ্রাম বাংলাদেশের একটি হত্যাকারীর মিশন ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না । মুক্তচিন্তার বা আদর্শিক সংগ্রামের অপরকে হত্যা করা হয়েছে যেমন অনন্ত বিজয় দাবস, অভিজিত রায়, নিলয় নীল, তনয়, ফয়ছল আরেফিন দীপ, ওয়াশিকুর বাবু সহ অন্যান্যকে হত্যা করে ফেলার কোন প্রয়োজন হয় না- প্রয়োজন হয় চোখ খোলা রেখে প্রশ্ন তোলা, প্রশ্ন শোনা, ভিন্নমত শোনা আর সেগুলি বিবেচনা করার আর বিচার করার। জামায়াত শিবির ও মৌলবাদীদের কাছে সেই সুযোগ নেই। কেননা যুক্তি তর্কের লাইনে গেলে আপনাকে আপনার নিজের বিশ্বাসকেও নানারকম প্রশ্ন করে যাচাই করতে হয়। ধর্ম বিশ্বাসে তো প্রশ্নেরই সুযোগ নাই।

সেজন্যেই একজন মুক্তচিন্তার তরুণ যখন নিজের আদর্শ নিজের বিশ্বাস (বা অবিশ্বাস) নিয়ে লড়াই করে সে কখনোই প্রতিপক্ষকে খুন করবে না। প্রতিপক্ষ না থাকলে তাকে প্রশ্ন করবে কে? নিজের প্রয়োজনেই সে ভিন্নমত খুঁজে বেড়ায়। এটাই তাঁর সংগ্রাম। আর আল্লা ও তার নবী মহাম্মদ অন্ধ বিশ্বাসের জামায়াত শিবির ও মৌলবাদীদের মিশন হচ্ছে উল্টা- ভিন্নমত পেলেই মেরে ফেলবো। সেটাকে আপনাদের পবিত্র মনে হতে পারে, কিন্তু আদর্শের লড়াই সেটা নয়।
একজন আমার ধারনাকে আক্রমণ করলে তার সাথে আমি সসম্মানে তর্কে লিপ্ত হতে পারি। কিন্তু যে আমার প্রশ্নকে আক্রমণ না করে আমাকে গলা কেটে প্রশ্ন বন্ধ করতে চাইবে, সে তো সংগ্রামী না, তস্কর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন