শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সাকিব আহমদ মুছা, প্যারিস (ফ্রান্স) থেকে :–ব্লগার সাংবাদিক মো: সাকিব আহমদ মুছা সেদিনের কথা মনে পড়ছে যেদিন  আমার বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল বাংলাদেশে।  আট বছর আগের কথা। মার্চ তিন তারিখ সেদিন। ফোন এল। একটি কণ্ঠস্বর। কণ্ঠস্বরটি অচেনা।
-- আপনার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট হয়েছে। আপনি বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে।
-- আপনি কে বলছেন?
-- আমাকে আপনি চিনবেন না।
-- নাম বলেন।
-- আমার নাম মাছুম। আমি আপনার শুভাকাঙ্খি। আপনার বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে, আপনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দেরি করবেন না।
কী কারণে হুলিয়া জারি এসবের কিছুই না বলে ফোন রেখে দিল লোকটি। মাছুম নামের কোনও লোকের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। ভাবি, কী কারণ থাকতে পারে এই ফোনের! লোকটি যে ই হোক, লোকটি চাইছে আমি যেন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। কোনও ষড়যন্ত্র এর পেছনে লুকিয়ে আছে নিশ্চয়ই। ভাবতে ভাবতে আমি বারান্দা থেকে উঁকি দিয়ে দেখতে থাকি সামনের রাস্তায় সন্দেহজনক কেউ দাঁড়িয়ে আছে কি না। সম্ভবত আশেপাশের থেকে লোকটি ফোনটি করেছে, আমি বেরিয়ে গেলে সে তার দলের লোক নিয়ে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। কৌশলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে আমাকে মেরে ফেলার ফন্দি এঁটেছে। বাইরে বেরোবার দরজা দুটো একবার দেখে নিই খিল আঁটা আছে কি না। ক'দিন আগে একটি ফোন এসেছিল এরকম, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সোজা বলল, আপনার বাড়িতে পুলিশ আসছে। কেন পুলিশ আসছে, কী করতে আসছে কিছুই জানায়নি সেই সাংবাদিক। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় বসে ছিলাম। কিছুক্ষণ বাদে আমার বাবা ফোন করলে পুলিশ আসছে এই খবরটি দিই। আমার বাবা তখনই ভীত উত্তেজিত স্বরে বললেন, সাকিব তুমি এখনই বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে।

এখন ২০১৩ সালের কথায় আসি পরবর্তীতে আমাকে অন্য মামলায় ওয়ারেন্ট দেখিয়ে জুলাই চার ২০১৩ গ্রেফতার আমার নিজ বাড়িতে। পুলিশ আর আমিনুল ইসলাম এর ক্যাডার বাহিনর হানা আমার গৃহস্থল। আমি সহ আমার মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি পুরো বাড়ী আতংকে আতংকিত। বাবা ছিলোনা বাড়িতে। শেষ পর্যন্ত হাতে শিকল পরে জেল বন্ধি হতে হয় আমাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন