রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

ইউরো ফুটবল উৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় ফ্রান্স

সাকিব আহমদ মুছা, প্যারিস (ফ্রান্স) থেকে :- ১৯৯৬ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো ইউরোপের ২৪টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে ইউরোফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৯৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত মোট ১৬টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিলো ইউরোপের এই ফুটবল বিশ্বকাপ।
জমজমাট এই ফুটবল আসরকে ঘিরে পুরো ফ্রান্স জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইউরোপ সেরা এই আসরকে বরণ করতে নতুন সাজে সেজেছেফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ অন্যান্য স্বাগতিক শহরগুলো । এই আসরের ময়দানী লড়াই উপভোগ করতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেনফুটবলপ্রেমীরা।
রবিবার, ২৯ মে আধুনিক শিল্প সাহিত্য ও দর্শনের তীর্থস্থান ফ্রান্সে বসছে বিশ্ব ফুটবলের উন্মাদনা সৃষ্টিকারী আসর ‘ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৬’।ইউরোপের সেরা ফুটবল খেলুড়ে দেশগুলোকে নিয়ে আগামী ১১ জুন মাঠে গড়াচ্ছে আসরটি। টুর্ণামেন্টে এবারই প্রথম সর্বাধিক ২৪টি দল অংশ নিচ্ছে ।
এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইউরো’র আয়োজন করতে যাচ্ছে ফরাসিরা। এর আগে ১৯৬০ সালে প্রথম আসরের আয়োজনের পর ১৯৮৪ সালেদ্বিতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিল ফ্রান্স। গেল ১৪ আসরের ধারাবাহিকতায় এটি ইউরো ফুটবলের ১৫তম আসর।
উরোতে মাঠের লড়াইয়ে কাঁপন ধরাবে। টুর্নামেন্টের ফরমেট হিসেবে থাকছে গ্রুপ পর্ব, নক আউট পর্ব ও ফাইনাল।
এবারের আসরে বাড়ানো হয়েছে প্রাইজমানিও। ২০১২ সালে পোল্যান্ড-ইউক্রেন যৌথভাবে আয়োজন করে ১৬ দলের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। সেবারপ্রাইজমানি ছিল ১৯৬ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু ফ্রান্সের আসরে তা বাড়িয়ে ৩০১ মিলিয়ন ইউরো (২১৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড, ৩৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)করা হয়েছে।
 এরমধ্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে দেয়া হবে আট মিলিয়ন ইউরো। প্রতিটি ম্যাচে জয়ের জন্য পারফরমেন্স বোনাস হিসেবে রয়েছে অতিরিক্ত একমিলিয়ন ইউরো, গ্রুপ পর্বে প্রতিটি ড্রয়ের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ লক্ষ ইউরো। নক আউট পর্বে পৌঁছানোর জন্য প্রতিটি দল পাবে দেড় মিলিয়ন ইউরো,কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য আড়াই মিলিয়ন ইউরো, আর সেমিফাইনালে পৌছাতে পারলে অতিরিক্ত চার মিলিয়ন ইউরো।
এদিকে ইউরো’র ১৫তম আসরের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ফ্রান্সের ১০ নগরীর ১০টি ভেন্যু। ভেন্যুগুলো হলো সেইন্ট ডেনিস, মার্শেই, লিও,লিল, প্যারিস, বরদিওক্স, সেইন্ট এতিনি, নিস, লেন্স ও তুলুস। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ও সমাপনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৮১ হাজার ৩ শত ৩৮ জন দর্শকধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম সেইন্ট ডেনিসে।
১০ জুলাই স্তাদে দি ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে বিজয়ী দল পাবে আট মিলিয়ন ইউরো ও রানার্স-আপ দল পাবে পাঁচ মিলিয়ন ইউরো। উয়েফা’র একবিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিরোপা বিজয়ী দল যদি গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচেই জয়ী হয় তবে সব মিলিয়ে তারা ২৭ মিলিয়ন ইউরো আয় করবে যা ২০১২ সালেছিল ২৩.৫ মিলিয়ন ইউরো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন